জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

সবটাই ঈশা-মৌমিতার কারসাজি! অবশেষে বুদ্ধি খুলল সৃজনের! পর্ণার অপরাধীদের কড়া শাস্তি দিল সে! নিম ফুলে টান টান উত্তেজনা

ফের নতুন সমস্যার মুখে আলোকপর্ণা। ফটোশ্যুট করতে গিয়ে ঘোরতর বিপদে পড়লো সে। কেউ বা কারা পর্ণার স্বল্পবাসিনী ছবি ছড়িয়ে দিয়েছে শহর কলকাতার সর্বত্র। পর্ণা জোর গলায় বলছে যে এই ছবি মিথ্যে। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে তাঁর কথা বিশ্বাস করা কার্যত কঠিন হয়েছে। কঠিন হয়েছে গোটা পরিস্থিতি। এমন সময় পর্ণার বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়ে সৃজন। পর্ণার এহেন বিপদ কে করতে পারে তা চিন্তা করতেই ভেসে ওঠে ইশার নাম। আর তাই প্রমাণ জোগাড় করতে সরাসরি ইশার বাড়ি হাজির হয় সৃজন।

এদিকে, ইশার বাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় ভেতরে ঢোকার পথ ভাবতে থাকে সে। সৃজন মনে মনে ঠিক করে আর যাই হয়ে যাক ইশার বাড়ি থেকে প্রমাণ জোগাড় করে সে ফিরবেই। আর সেই ভেবে বাড়ির জানলা দিয়েই ভিতরে চলে আসে সৃজন। এদিকে, ইশা বেড়িয়েছে মন্ত্রী মশাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে। তাই বাড়ি ফাঁকা। এই সুযোগে ইশার বাড়ি সার্চ করতে থাকে সৃজন। আর কথায় কথায় হাতে পেয়ে যায় ইশার ল্যাপটপ।

ইশার পার্সোনাল ল্যাপটপে প্রথমে সন্দেহজনক কিছু না মিললেও পরে ‘সিক্রেট’ নামক একটা ফাইল খুঁজে পায় সৃজন। যদিও তা ওপেন করতে কালঘাম ছোটে তাঁর। এদিকে, ইশাকে সন্দেহ করে আর সৃজনকে খুঁজতে খুঁজতে ইশার বাড়ি অবধি পৌছে যায় পর্ণাও। অন্যদিকে, বিশেষ কারণে হঠাৎ বাড়ি ফিরে আসে ইশা। ইশার চোখ এড়িয়ে কোনো মতে পালিয়ে আসে সৃজন-পর্ণা। পর্ণা সৃজনকে বলে যে তাঁর আদৌ কোনো কাণ্ডজ্ঞান হয়নি!

আরো পড়ুন: বি’ষ খেয়ে মৃ’ত্যু’র মুখে পরাগ! পলাশ-প্রতীক্ষার ষড়যন্ত্রে জেলযাত্রা শিমুলের! কার কাছে কই মনের কথায় তোলপাড় করা নতুন প্রোমো

যদিও মনে মনে বেশ খুশি হয় পর্ণা। তাঁর বিপদে যে সৃজন এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে, সেটাই ভেবেই বেশ আনন্দ হয় তাঁর। ঠাম্মিকে গিয়ে সেই আনন্দের কথা জানায় পর্ণা। অন্যদিকে, পর্ণার জন্য সৃজনের এই ব্যাকুলতা দেখে মনে মনে বিরক্ত হন কৃষ্ণা। তাই পর্ণার বিরুদ্ধে সৃজনকে উসকে দিতে হাজির হয় কৃষ্ণা আর মৌমিতা দুজনেই। পর্ণা যে সৃজনের কথা শোনেনা নিজের স্বেচ্ছায় সমস্ত কাজ করে তা সৃজনকে জোর করে উপলব্ধি করায় তাঁরা। যদিও সৃজন বুঝতে পারে মৌমিতা ইচ্ছে করে তাঁর কাছে এসে পর্নার বিরুদ্ধে যুক্তি সাজাচ্ছে। মৌমিতার চালাকি ধরে ফেলে সৃজন।

এদিকে, মায়ের কথায় সৃজন ভাবে সত্যিই তো। পর্ণা তাঁর কথা শোনা তো দূর বরণ সৃজনকে পর্ণার সব কথা শুনে চলতে হয়। আর একথা ভাবার পরেই পর্ণার বিরুদ্ধে সুর চড়ায় সৃজন। সে সরাসরি পর্ণা কে বলে, শ্বশুরবাড়িতে থাকার হলে পর্ণাকে তাঁর কথা শুনেই চলতে হবে। নয়তো বেরিয়ে যাওয়ার দরজা তাঁর জন্য খোলা আছে। সৃজনের মুখে এই কথা শুনে ভেঙে পড়ে পর্ণা? একা হাতে সমস্ত বিপদ কিভাবে সামলে উঠবে সে? নাকি সৃজন থাকবে তাঁর পাশে? উত্তর মিলবে জি বাংলার পর্দায়।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।