এই মুহূর্তে জি বাংলার (zee bangla) পর্দায় যতগুলি ধারাবাহিক চলছে তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar kacche koi moner kotha) ধারাবাহিকটি। নারী স্বাধীনতার গল্প বলা এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে দারুণভাবে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছে। বাঙালি নারীরা এই ধারাবাহিকের সঙ্গে দারুণভাবে একাত্মবোধ করছে।
বিয়ের পরে একটি মেয়ের মনের কথা যে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বুঝতে অক্ষম হতে পারে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছিল এই ধারাবাহিকটি। একইসঙ্গে শ্বশুরবাড়িতে একজন মেয়েকে ঠিক কত রকমের অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হয় তার বাস্তবধর্মী গল্পই উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকটিতে।
আরো পড়ুন: পূর্ণতা পায়নি প্রেম! সাবিত্রীর বাবার ভয়ে বাথরুমেই ঠাঁই হয়েছিল উত্তম কুমারের! জানুন এক রোমাঞ্চকর অজানা গল্প
শুরুতে দর্শকরা এই ধারাবাহিকটি দেখতে পছন্দ না করলেও এখন কিন্তু দারুণ পছন্দ করছেন। বেশ জমে উঠেছে এই ধারাবাহিকের গল্প। এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকের গল্প দারুণ রকম উত্তেজনাপূর্ণ। এই ধারাবাহিকের গল্পে আমরা দেখেছি, বিয়ের আগে এই নায়িকা শিমুলের একটি সম্পর্ক ছিল। আর সেই সমস্ত সম্পর্কের হাতছানি উপেক্ষা করেই পরাগকে বিয়ে করে নেয় শিমুল। যদিও শিমুলের তৎকালীন হবু জা প্রতীক্ষা শতদ্রুর সঙ্গে শিমুলের সম্পর্কের কথা তার শ্বশুরবাড়িতে জানিয়ে দেয়। বিষয়ে ওঠে শিমুল পরাগের সম্পর্ক। ভেঙে যায় বিয়ে।
শিমুলকে চরম অপমানিত হতে হয় তার শ্বশুরবাড়িতে। বিশেষ করে তার দেওর এবং তার হবু জা এবং স্বামী পরাগ তাকে উঠতে বসতে চরিত্রহীন বলে কটাক্ষ করে। যদিও এখন নিজের ছাত্রী প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ে করতে চলেছে পরাগ। এরইমধ্যে আবার প্রতীক্ষার প্রাক্তন প্রেমিক পুতুলের শিক্ষক হয়ে ফিরে এসেছে। অর্থাৎ গল্পে বেজায় গন্ডগোল।
কিন্তু অন্যদিকে ডিভোর্স হয়ে গেলেও বাড়ি ছেড়ে চলে না গিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই পড়ে রয়েছে শিমুল। আর এবার প্রকাশ্যে এসেছে চমকে দেওয়া এক প্রোমো। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পরাগকে কেউ বিষ দিয়েছে। প্রতীক্ষা অভিযোগের আঙুল তুলেছে শিমুলের দিকে। যদিও মধুবালা তা মানতে নারাজ। ইতিমধ্যেই পুলিশ এসে গেছে শিমুলকে ধরে নিয়ে যেতে। যদিও শিমুল বলে ‘নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ফিরে আসব, আর নয়ত কোনদিন নিজের মুখ দেখাব।’ বলাই বাহুল্য ফের পলাশ, প্রতীক্ষার ষড়যন্ত্রের শিকার হল শিমুল। কিন্তু পরাগের কী হয়েছে?