জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে (Neem Phooler Modhu) নতুন অতিথি হয়ে এসেছেন তরঙ্গ দত্ত এবং নাতাশা। তরঙ্গ আর নাতাশা তাদের পরিবার সংক্রান্ত সমস্ত ঘটনা জানিয়ে দেয় পর্ণাকে। পর্ণারাও সকলেই তাদের সাহায্য করতে রাজি হয়ে যায়। ওদিকে মৌমিতা ফোন করে ঈশাকে এবং তরঙ্গ সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানিয়ে দেয়। ঈশা মৌমিতাকে বলে এই বিষয়ে কিছু না করতে পরেরবার যে আসবে সেইবার ঝামেলা করবে ঈশা। সেই কথা শুনে অবাক হলেও মৌমিতা ফোন রেখে দেয়।
ওদিকে সৃজন এবং পর্ণা পৌঁছায় সেই রাস্তায় সেখানে ঈশা ওই টুপিটা দিয়েছিল। তারা সামনে একটি পানের দোকান দেখে যেখানে সিসি টিভি ক্যামেরা রয়েছে। পর্ণা আর সৃজন যায় সেখানে সিসি টিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখতে। প্রথমে তারা দোকানে গিয়ে একটা করে ফায়ার পান খায়। পর্ণা প্রথমে ভিয় পেলে সৃজন তাকে বলে খেতে। তারপর তারা পান খেয়ে দোকানদারকে তার পানের দোকান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে।
কথায় কথায় সিসি টিভি ক্যামেরা কথা বললে দোকানদার তাদের সন্দেহ করে তখন পর্ণা প্রথমে বলে তার কানের দুল হারিয়ে গেছে কিন্তু সৃজন সত্যি কথা বলে দেয় দোকানদারকে। দোকানদার রেগে গিয়ে তাদের দোকান থেকে তাড়িয়ে দেয়। তখন পর্ণা চয়নকে ফোন করে। চয়নকে পুলিশের পোশাকে দেখে দোকানদার সিসি টিভি ফুটেজ দেখাতে রাজি হয়ে যায়। সিসি টিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে তারা জানতে পারে টুপির পুরো কান্ডটাই ঈশা করেছে।
তারা ঠিক করে ঈশাকে শাস্তি দেওয়ার কিন্তু সৃজন মৌমিতা আর অয়নের কথা বললে পর্ণা বলে ওদের কি আর করা যাবে। ওদের বরং এইবার থেকে এড়িয়ে বা ওদের থেকে লুকিয়ে সব করতে হবে। পর্ণা সৃজনকে এও বলে বাড়িতে গিয়ে এইরকম ভান করতে যাতে সকলেভাবে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ওদিকে ঈশা রনির কাছে গিয়ে তার বাবাকে ফোন করে নাতাশার পরিবারকে জানতে বলে।
রনির বাবা তাই করে এবং তার কথা শুনে দত্ত বাড়ি এবং তরঙ্গ আর নাতাশাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য দত্ত বাড়িতে এসে উপস্থিত হয় নাতাশার দাদার গুন্ডারা। তারা রুম নেয় দত্ত বাড়িতে। কিন্তু সেটা দেখে নেয় নাতাশা। তারা ভাবে পর্ণা আর সৃজন তাদের ঠকিয়েছে তাই তারা জানালা দিয়ে পালাতে যায়। তখনই সেটা দেখে ফেলে পর্ণা আর সৃজন এবং তাদের আটকায়। তরঙ্গ সৃজনকে মারতে ওঠে। তখন সৃজন আর পর্ণা তাদের সবটা বুঝিয়ে বলে যে তাদের কোনও দোষ নেই এবং তারা তরঙ্গদের সাহায্য করবে। পর্ণা বলে তার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে। তবে কি মনে হয় আপনাদের, পর্ণা কি পারবে তরঙ্গদের বাঁচাতে?