বলিউড হোক বা টলিউড, অভিনেতা- অভিনেত্রী হোক বা গায়ক-গায়িকা বিনোদন জগতের ব্যাক্তিত্বের জন্যে ট্যাটু করা কোনও নতুন বিষয় নয়। সকলেই তার ট্যাটু প্রদর্শনী করতে ভালোবাসেন। সেটা সংগীত শিল্পী হানি সিং হন কি নেহা কক্কর। তবে দীপিকা পাডুকোন থেকে মালাইকা আরোরা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে সোনাক্ষি সিনহা সকলের ট্যাটুর নেপথ্যে করেছে একটি কাহিনী। তবে টলিউডই বাদ যায় কেন?
নুসরাত জাহান থেকে মিলি চক্রবর্তী সকলেই ট্যাটুই জনপ্রিয় তার পৃথক বৈশিষ্ট্যে। কেউবা তার ট্যাটু বানিয়েছে সখেই তো কেউ বানিয়েছে কোনও বার্তা দেওয়ার জন্য। বাংলার জনপ্রিয় মুখ মিমি চক্রবর্তী। তিনি তার অভিনয় যাত্রা শুরু করেন ধারাবাহিক গানের ওপারে থেকে তারপর তিনি পা দেন অভিনয়ের জগতে। তার প্রথম সিনেমা ছিল বাপি বাড়ি যা। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
বোঝেনা সে বোঝেনা, গ্যাংস্টার, মিনি, যোধা, বাজি, পোস্ত, প্রলয়, গল্প হলেও সত্যি, ড্রাকুলা স্যার, খাদ পভৃতি পরপর হিট সিনেমা করে গেছেন তিনি। অভিনয় করতে করতেই তিনি যুক্তি হয় রাজনীতিতে। বাংলার লোকসভার একজন প্রতিনিধি তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায় পরিচালিত সিনেমা রক্তবীজ।
মিমির ডান হাতে রয়েছে নটরাজের ট্যাটু সেটা সকলেই জানা। কিন্তু আপনারা কি জানেন তার তলপেটের ডান দিকে রয়েছে একটি পালকের ট্যাটু। সম্প্রতি তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করে তার ট্যাটু দেখিয়ে। কিন্তু জানেন কি সেই ট্যাটুর নেপথ্যে করেছে এক কাহিনী। সেই ট্যাটুর পিছনে আছে তার ছোটবেলার ইতিহাস। ছোটবেলার একটি দাগ ঢাকতেই এই ট্যাটু বানিয়েছেন। সংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন নিজের মুখেই।
বলেছেন ছোটবেলায় তার অ্যাপেনডিক্সর অস্ত্রোপচার হয়। সেই দাগ এখনও তার শরীরে রয়েছে বিদ্যমান। ক্রপ টপ পড়লেই দেখা যায় সেই দাগটি। তাই সেই দাগ ঢাকতেই পালকের ট্যাটুর সাহায্য নেন তিনি। তিনি বলেছেন “হ্যাঁ দাগ আছে।” সম্প্রতি তিনি নিজেই তার ট্যাটুর এই রহস্য তিনি শেয়ার করেন সকলের সঙ্গে।