Neem Phooler Madhu Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিকে নিম ফুলের মধু (Neem Phooler Madhu)। শুরুর থেকেই দর্শকদের মনে জায়গা করে দিয়েছে ধারাবাহিকটি। তবে যত দিন এগিয়েছে ততই বেড়েছে ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা। সৃজন আর পর্ণার ভালোবাসার কাহিনী পর্দায় প্রতিদিন রাত ৮টায় দারুণ উপভোগ করছেন দর্শকরা। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে দত্ত বাড়িতে নতুন নতুন কেলেঙ্কারি এবং দত্ত বাড়িকে বাঁচাতে পর্ণার নতুন নতুন তাঁর কাটা বুদ্ধির প্রশংসায় পঞ্চমুখ সারা বাংলার গৃহিণীরা।
যদিও ধারাবাহিকে এসেছে নতুন মোড়। সত্যিটা জেনে যাওয়ায় পর্ণার কাছে ক্ষমা চাইতে শুরু করে মৌমিতা। কিন্তু তখনই মৌমিতার ধাক্কায় ছাদ থেকে পড়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে পর্ণা। আর পর্ণাকে সুস্থ করতে তাই সবাই মিলে পর্ণাকে নিয়ে আসে দত্ত বাড়িতে। কিন্তু সুইটি সবাইকে জানিয়ে দেয় এখন সবাই যেন তাকে সৃজনের বউ বলে ভাবে নাহলে সে পর্ণাকে সব সত্যিটা বলে দেবে আর সেটা সহ্য করতে না পেরে পর্ণা মারা যাবে। সুইটি এই কথা শুনে চুপ করে যায় সবাই।
নিম ফুলের মধুতে আজকের পর্ব ২০ মে (Neem Phooler Madhu Today Episode 20 May)
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে পুঁটিকে নিজের হাতে অমলেট খাইয়ে দিচ্ছিল পর্ণা। তখনই এঁটো কাটা নিয়ে পর্ণাকে নানা কথা শোনাতে থাকে কৃষ্ণা। প্রথমে পর্ণা কৃষ্ণার সমস্ত কথা শুনে নিলেও নিজের বাবা মাকে নিয়ে কৃষ্ণার মুখ থেকে কটূকথা শোনেনি পর্ণা। পর্ণা কৃষ্ণাকে বলে “ব্যস দিলেন তো আমার তাঁরটা কেটে।” এই বলেই ঘর থেকে বেরিয়ে যায় পর্ণা। উল্লেখ্য, পর্ণাকে আগের মতো রাগারাগি করতে দেখে খুব খুশি হয় সৃজন সহ গোটা দত্ত পরিবার।
রেগে গিয়ে গোটা দত্ত বাড়ি জলময় করে দিল পর্ণা
যদিও পর্ণার আগের রূপ রেখে পিকলু সকলকে বলে পর্ণা আগে আরও বেশি তাঁর কাটা ছিল। সেটা শুনেই ভয় পেয়ে যায় কৃষ্ণা। এরপরই ঘরে বাড়িতে চলে যায় পর্ণা। সে কৃষ্ণা কৃষ্ণাকে বলে সে এই গোটা দত্ত বাড়িকে এঁটো করে দিয়েছে তাই এবার সে গোট দত্ত বাড়ি ধুইয়ে দেবে। কথাটা শুনেই চমকে যায় সকলে। এরপর একটা জলের ট্যাঙ্কি এনে গোটা দত্ত বাড়ি ধুয়ে দিতে শুরু করে পর্ণা। যদিও কৃষ্ণা ক্ষমা চাওয়ার পর শান্ত হয়ে ঘরে চলে যায় পর্ণা।
আরো পড়ুন: হঠাৎ কেন অনির্বাণের ওপর রেগে গেল রাই এবং শৌর্য্য! ধারাবাহিকের আসন্ন পর্বে রয়েছে বিরাট চমক! জানালেন অভিনেতারা!
দত্ত বাড়িতে আগের মতো করতে স্মৃতি চলে যাওয়ার নাটক করল পর্ণা
পর্ণার এই রূপ দেখে ভয় পেয়ে যায় অয়ন, মৌমিতা এবং সুইটি। তড়িঘড়ি অয়ন ফোন করে ঈশাকে। ঈশা জানায় তার মনে হচ্ছে পর্ণা সুস্থ আছে। তাই পর্ণার ওপর নজর রাখতে হবে। এই কথা শুনেই পর্ণার ঘরে যেতে বেরিয়ে যায় সুইটি। কিন্তু তাকে মাঝ পথেই আটকে দেয় পিকলু, বর্ষা, জেঠু। আর এই সবটাই ওপর থেকে দেখতে থাকে পর্ণা। তাহলে কি সত্যিই স্মৃতি হারায়নি পর্ণা? দত্ত বাড়িকে এক করতে এবং সুইটি, ঈশা, অয়ন এবং মৌমিতাকে ধরার জন্য এই নতুন ফাঁদ পেতেছে পর্ণা, আপনাদের কি মনে হয়?