জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। বর্তমানে ধারাবাহিকে ধামাকাদার পর্ব চলছে। ধারাবাহিকের গল্প যে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, বলাই যায় তার মুলে রয়েছে পর্ণা (Parna)। পর্ণা একাই প্রথম থেকে পরিবারের একের পর এক সমস্যা সমাধান করে চলেছে। পর্ণার বিপরীতে রয়েছে সৃজন (Srijan)। যদিও বর্তমানে সৃজন পর্ণার উপর অভিমান করে রয়েছে। আর সেই সুযোগে কৃষ্ণা (Krishna) উঠেপড়ে লেগেছে পর্ণাকে বাড়ি থেকে তাড়ানোর জন্য।
বিয়ের পর থেকেই কৃষ্ণা পর্ণাকে সহ্য করতে পারেনা। সে সর্বদা পর্ণাকে তাড়িয়ে সৃজনের আবার বিয়ে দিতে চায়। বর্তমানে পর্ণা ও সৃজনের মাঝে এসেছে ঈশা (Isha) নামের একজন মেয়ে। সৃজন তার ব্যবসার সাহায্যের জন্য ঈশাকে নিয়ে এসেছে। এই ঈশা আবার ব্যবসা থেকে পর্ণাকে সরানোর চেষ্টা করে চলেছে। সে নিজে ব্যবসার মালকিন হতে চায়।
এরমাঝেই পর্ণার সামনে এল আরও এক বড় চ্যালেঞ্জ। পর্ণার দেওর চয়ন (Chayan) পর্ণার এক বন্ধু রুচিরাকে (Ruchira) ভালোবেসে ফেলেছে। দুজনকে কাছাকাছি আনার জন্য পর্ণা প্রথম থেকে চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু তাদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ালো চয়নের বাবা। চয়নের বাবা কোনওভাবেই তাদের বিয়ে দিতে চায় না। এমনকি চয়নের গায়ে হাতও তোলে।
রুচির অভিভাবককে ডেকে এনে চয়নের বাবা অর্থাৎ পর্ণার জেঠুমনি সকলকে অপমান করে। পর্ণা যদিও তাদের মিল করবে বলে কথা দেয়। তবে সর্জনও এই ভালোবাসার বিপক্ষে। সে পর্ণাকে বলে যদি চয়ন ও রুচির মিল করে সে, তাহলে পর্ণাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যাতে হবে। যদিও ঠাম্মি পর্ণার সাথে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সমাজকে ডোন্ট কেয়ার, বিবাহিত শিমুলকে ভালো রাখতেই গ্রহণ করতে রাজি শতদ্রু! ‘সুপুরুষের প্রতীক’?
চয়ন ও রুচি বাধ্য হয়ে ঠিক করে তারা পালিয়ে যাবে। রুচি চয়নের জন্য অপেক্ষা করে। কিছু সময় পর চয়ন সেখানে আসে কিন্তু কোনও ব্যাগ নিয়ে নয়। রুচি তাকে দেখে অবাক হয়ে যায়। তবে কি চয়ন পালিয়ে যাওয়ার মত পাল্টে নিল? তখনই পেছনে পর্ণা এসে দাঁড়ায়। সে জানায়, পালিয়ে কিছু হবে না, সকলের মত নিয়েই এই বিয়ে হবে।