Bangla Serial

Satadru Praised: সমাজকে ডোন্ট কেয়ার, বিবাহিত শিমুলকে ভালো রাখতেই গ্রহণ করতে রাজি শতদ্রু! ‘সুপুরুষের প্রতীক’?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi moner kotha)। ধারাবাহিকটি বাস্তবে মেয়েদের যে সকল সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়, সেই সমস্যাকেই তুলে ধরছে। যদিও ধারাবাহিকের শতদ্রুর (Shatadru) চরিত্রটিকে বাস্তবে তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। শিমুল (Shimul) একজন বিবাহিত মেয়ে হলেও সে আবার তার সঙ্গে সংসার গড়ে তুলতে প্রস্তুত। শতদ্রুর সঙ্গে একটাসময় সম্পর্ক ছিল শিমুলের।

শিমুলের বাড়ি থেকে ছিল বিয়ের তাড়া। এদিকে শতদ্রু নিজের পায়ে তখনও দাঁড়ায়নি বলে শিমুলের কাছে চেয়েছিল কয়েকটা বছর। কিন্তু শিমুলকে বিয়ে দেওয়ার জন্য তার দাদারা উঠেপড়ে লাগে। দাদাদের চাপে শিমুল শতদ্রুর সঙ্গে হওয়া সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে পরাগকে (Parag) বিয়ে করে। নিজের সমস্ত অতীতকে ভুলে নতুনভাবে জীবনটাকে শুরু করতে চেয়েছিল শিমুল।

শ্বশুরবাড়িতে এসে শিমুলের সেই স্বপ্ন প্রথমদিনই ভেঙে যায়। বাড়ির বউয়ের নেই কোনও সম্মান, তার গান গাওয়া, নাচ করা, বাইরে বেরোনো, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া সব বন্ধ হয়ে যায়। পরাগ তার স্বামী হলেও শিমুলকে স্ত্রীর কোনও সম্মান দেয় না। প্রতি রাতে শিমুল নির্যাতিত হয় পরাগের কাছে। এমনকি শিমুলের অতীতকে টেনে এনেও খোটা দেয় বারংবার। পরাগ স্বামী হিসাবে বাস্তবের কিছু অমানুষের চরিত্রকেই ফুলটিয়ে তুলছে।

স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা, তার অপমান করা ছাড়া পরাগ আর কিছুই পারে না। শিমুলকে যেন কাজের লোক হিসাবে এনেছে পরাগ। যদিও শিমুল একজন প্রতিবাদী মেয়ে, সে অন্যায় দেখলে চড়াও হয়। তবে শিমুলের সংসার জীবন সুখের হওয়া অসম্ভবের মতোই। পরাগ যে কিরূপ ব্যবহার করে শিমুলের সাথে, তা শতদ্রুও নিজের চোখে দেখেছে। শতদ্রুর বোনের বিয়েতে শিমুল গেলে শতদ্রু শিমুলকে সব ভুলে আবার নতুন করে পথ চলার প্রস্তাব দেয়।

পরাগকে ডিভোর্স দিয়ে শতদ্রুকে বিয়ে করতে বলে সে। যদিও শিমুল কারোর দয়া চায় না, তাই সে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। তবে শতদ্রুর মনে যে শিমুলের প্রতি ভালোবাসা এখনও আছে তা স্পষ্ট। সে সমাজের দৃষ্টিকোণের বাইরে গিয়ে শিমুলকে আবার নিজের করে নিতে চায় দেখে দর্শকদেরও এই চরিত্রকে খুব ভালো লেগেছে। বাস্তবে যদি সত্যি শতদ্রুর মতো ছেলে থাকতো, তাহলে হয়তো অনেক মেয়েরাই আবার নতুনভাবে নিজের জীবন শুরু করতে পারত।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।