জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পরিণীতা’ (Parineeta) ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে। তূর্য ও বসু পরিবারে জটিল সম্পর্ক, পারিবারিক শত্রুতা ও পুরনো রহস্য ঘিরে সাজানো হয়েছে এই সিরিয়ালের মূল গল্প। প্রতিদিন সন্ধ্যে হলে দর্শকের চোখ আটকে যায় এই সিরিয়ালের টেলিভিশন স্ক্রিনে। আর তার মধ্যে নতুন প্রোমো যেন আগুনে ঘি ঢালার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
পূর্বের পর্বগুলিতে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়েছিল তূর্যর পরিবারের সঙ্গে বসু পরিবারের পুরনো সম্পর্ক ও দ্বন্দ্ব। তূর্য ছোটবেলা থেকেই বিশ্বাস করত, তার দাদুর রহস্যজনক মৃত্যুর পিছনে রয়েছে পারুলের দাদুর হাত। এই কারণেই সে বসু পরিবারকে ঘৃণা করতে থাকে। কিন্তু সত্যিটা ছিল একেবারেই অন্যরকম। পারুলের দাদু যখন নিজের নতুন ব্যবসা শুরু করেন, তখন তূর্যর দাদু ছিলেন সেই দোকানের বিশ্বস্ত কর্মচারী। কিন্তু একদিন পারুলের দাদু বুঝে ফেলেন যে তূর্যর দাদু তাকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।
এই বিশ্বাসভঙ্গের ফলস্বরূপ তূর্যর দাদুকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়। অপমান আর রাগে উন্মত্ত হয়ে তূর্যর দাদু গুলি চালান পারুলের দাদুকে লক্ষ্য করে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে গুলিটি লাগে তার ড্রাইভারের গায়ে, এবং গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে তূর্যর দাদুকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তূর্যর দাদুর। এতদিন এই ঘটনা অজানাই ছিল তূর্যের কাছে। কিন্তু নববর্ষের দিন হঠাৎ করেই তূর্য জানতে পারে তার দাদুর মৃত্যুর পিছনে যে গল্প এতদিন শুনে এসেছে, সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যে। সেই মুহূর্ত থেকে তার মনে জন্ম নেয় এক ভয়ংকর প্রতিশোধস্পৃহা।
সম্প্রতি ‘পরিণীতা’র একটি নতুন প্রোমো রীতিমতো শোরগোল ফেলেছে দর্শকমহলে। প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে, তূর্য এবার শুধু পারুল নয়, গোটা বসু পরিবারকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নিয়েছে। তার চোখে একটাই লক্ষ্য— যে পরিবার তার জীবন নষ্ট করেছে, তাদের একে একে শেষ করবে সে। আর এই প্রতিহিংসার আগুনে সে প্রথম টার্গেট করেছে রায়ানকে— পারুলের দাদুর প্রিয় নাতি। একদিন হঠাৎই তূর্য রায়ানের উপর হামলা চালায় এবং তাকে স্পষ্ট বলে, “তোর সময় শেষ।”
আরও পড়ুনঃ রায়ান এবং শিরিনের ষ’ড়য’ন্ত্রে এবার কি সত্যিই পারুলকে ইউনিভার্সিটি থেকে বিদায় নিতে হবে ? নাকি সে প্রমাণ করতে পারবে সে নির্দোষ?
এই চরম মুহূর্তেই রায়ানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে পারুল। সে তূর্যের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ায়। রায়ানকে তার প্রাণ দিয়ে হলেও বাঁচাতে চায় সে। এখন প্রশ্ন উঠছে, পারুল কি সত্যিই পারবে রায়ানকে তূর্যের রোষ থেকে রক্ষা করতে? না কি এই মুহূর্তেই ঘটবে এক ভয়াবহ ট্র্যাজেডি? দর্শকরা অপেক্ষায় আছেন, এই ক্লাইম্যাক্স দৃশ্যেই কী মোড় নেবে ‘পরিণীতা’র গল্প! উত্তরের অপেক্ষায় জেগে আছে লাখো দর্শকের চোখ।