শুরুর প্রথম দিন থেকেই জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে ফুলকি (Phulki)। সময়ের সাথে সাথে জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গেছে ধারাবাহিকটির। ফুলকি এবং রোহিতের জুটি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। ফুলকি চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী দিব্যানি মন্ডল (Devyani Mondal) কে এবং রোহিতের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিষেক বোসকে (Abhishek Bose)। অফিসে এর আগে ধারাবাহিকে কাজ করল দিব্যানির এটা প্রথম কাজ। প্রথম কাজই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি ফুলকি ধারাবাহিকের গল্প তোলপাড় হয়ে গেছে উড়ালপুল ভেঙে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে। এই উড়ালপুল ভেঙে পড়ায় বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে রোহিতের এক ভাই পিয়ালকে। এই উড়ালপুল ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় ফুলকির সন্দেহ যায় রুদ্রর উপর। ফুলকি পিয়ালের জন্য মা কালীর মন্দিরে পুজো দিয়ে ফেরার সময় দেখতে পায় রুদ্রর গাড়ি। ফুলকি দেখে রুদ্র একজনকে টাকা দিচ্ছে এবং শহর ছেড়ে চলে যেতে বলছে।
ফুলকি আজকের এপিসোড ১৪ সেপ্টেম্বর ( Phulki episode today 14 September)
ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাবে ফুলকি সবটা দেখে রোহিত এবং অংশু কে ফোন করে সেখানে ডাকে। রোহিত এবং অংশু সেখানে পৌঁছালে ফুলকি যা দেখেছে সেই ঘটনা তাদেরকে জানায়। এরপর তিনজন মিলে ভাবতে থাকে যে কিভাবে তারা প্রমাণ জোগাড় করে রুদ্রর মুখোশ খুলে দেবে।
এরপর দেখা যায় তিনজনে মিলে গিয়ে উপস্থিত হয়ে নবাবগঞ্জের মিউনিসিপালিটি অফিসে। সেখানে অংশুর এক পরিচিত লোক থাকায়, তার সাহায্যে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে তারা। সমস্ত তথ্য প্রমান ঘেটে দেখার পর দেবদাস মাইতি নামে একজনের নাম পাওয়া যায়। যার তত্ত্বাবধানে এই কাজ হয়েছে।
এরপর দেখা যায় ওই দেবদাস নামের ব্যক্তি রুদ্রকে ফোন করে বলছে যে রুদ্র যত টাকায় দিক না কেন তিনি যদি ফেঁসে যান তাহলে রুদ্রকেও ছেড়ে দেবেন নাকি। এরপর ফুলকি, রোহিত এবং অংশু পৌঁছে যায় দেবদাস বাবুর বাড়ি। পুলিশ আসার সাথে সাথেই বাড়ির পিছনে লুকিয়ে পড়েন দেবদাস বাবু। দেবদাস বাবুকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর ফুলকির বুদ্ধিতে দেবদাস বাবুর একটি ছবি তদন্তের জন্য তুলে নেয় রোহিত।
আরও পড়ুন: বিয়ে বাড়ির ফটোগ্রাফার ছিলেন, কাজ করেছেন বহুদিন জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে! দুর্জয় খ্যাত অর্কপ্রভর জীবনের অজানা কাহিনী জানেন?
অন্যদিকে দেখা যায় আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছে পিয়াল। তাকে দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছে হৈমন্তী সহ মা জেঠিমারা। পিয়ালের নামে পুজো দিয়ে তাকে আশীর্বাদ করতে এসেছে হৈমন্তী। তাকে দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয় সকলে। কিন্তু পিয়ালকে আশীর্বাদ করেই হৈমন্তী সেখান থেকে চলে যায়। অন্যদিকে কাজ সেরে দেবদাসবাবুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে ফুলকিরা। তারা পিয়াল কে দেখার জন্যই হাসপাতলের দিকে আসতে থাকে। রাস্তাতেই তারা আলোচনা করতে থাকে যে আসল অপরাধী পর্যন্ত পৌঁছাতে গেলে ওই দেবদাস মাইতি কে ধরতেই হবে। ফুলকিরা কিভাবে রুদ্রর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করে সেটাই দেখা যাবে আগামী পর্বগুলিতে।