স্টার জলসার ( Star Jalsha ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল ‘তোমাদের রানী’( Tomader Rani )। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে গল্পের নায়িকা রানী আর গল্পের নায়ক দুর্জয়। এদের দুজনের প্রেম-ভালবাসা ও বিবাহ পরবর্তী জীবন নিয়েই এই গল্প। সুশান্ত দাস পরিচালিত এই ধারাবাহিকে রানীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিকা মালাকার আর নায়ক দুর্জয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অর্কপ্রভ রায় ( Arkaprovo Roy )।
দুর্জয় ও রানীর রসায়ন দর্শকের বেশ পছন্দের হয়ে উঠেছিল। কিন্তু দুর্জয় খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতার লড়াইয়ের গল্প অনেকেই জানেন না।
আজ দুর্জয় হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার আগে জুনিয়র আর্টিস্টের কাজ থেকে শুরু করে বিয়ে বাড়িতে ছবি পর্যন্ত তুলেছেন দুর্জয়। তার জীবনের সেই লড়াই তাকে আজ এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা তার জীবনের সেই লড়াইয়ের গল্প বলেন, বলেন কীভাবে একজন সাংবাদিকতার ছাত্র হয়েও তিনি জুনিয়র আর্টিস্টের কাজ করেছেন ও বিয়ের বাড়িতে ফটোগ্রাফার হিসেবে ছবি পর্যন্ত তুলেছেন।
ঐ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎ কারে অভিনেতা বলেন ২০০৯ সালে প্রথম ক্যামেরার মুখোমুখি হন তিনি, সেই সময় তিনি একজন জুনিয়র আর্টিস্ট ছিলেন। এরপরই জুনিয়র আর্টিস্টে যারা কাজ করছেন তাদের উদ্দেশ্যে অভিনেতা বলেন তারাও যেন চেষ্টা চালিয়ে যায়, কারণ চেষ্টা চালিয়ে গেলে একদিন না একদিন ঠিক সফল হওয়া যায় বলে মনে করেন অভিনেতা।
তবে অভিনেতা তার জীবনের এই লড়াইকে একটা সফর হিসেবে দেখতে চান, যে সফর তাকে জনপ্রিয়তার শেখরে পৌঁছে যেতে সাহায্য করেছে। একই সঙ্গে দুর্জয়ের সঙ্গে অর্কপ্রভর চরিত্রগত ফারাক প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন,“ দুর্জয় প্রচণ্ড অ্যাম্বিসাস একটা চরিত্র। একটু বদরাগী, একটু রগচটা। একটু সিরিয়াস। বাস্তব জীবনে আমি একদম সিরিয়াস নই। দুর্জয় খুব বদরাগী, আমি কিন্তু খুব হাসিখুশি মানুষ।”
আরও পড়ুন: ফের খারাপ খবর দর্শকদের জন্য! বিশেষ কারণে অল্প সময়েই শেষ হচ্ছে স্টার জলসার জনপ্রিয় মেগা, নাম জানলে মন ভাঙবে আপনাদের
এরপর গুরুদাস কলেজের সাংবাদিকতার ছাত্র অর্কপ্রভ ওয়েডিং ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজের বিষয় নিয়ে অকপটে বলেন তিনি ব্যক্তিজীবনে একাধিক পেশায় ছিলেন। অভিনেতার কথায়, “আমি ৬ বছর ওয়েডিং ফটোগ্রাফার হিসাবে কাজ করেছি। কয়েক শো বিয়ে বাড়িতে ছবি তুলেছি। আমার আসলে একাধিক প্রফেশন বলতে পারেন, আমি সাড়ে চার বছর মুম্বইতে সময় কাটিয়েছি, সেখানে সহকারী পরিচালক হিসাবেও (আশ্রম ৩, পিচার্স ২) কাজ করেছি।”