টিআরপি তালিকায় প্রথম দ্বিতীয়ের মধ্যেই থাকে এই ধারাবাহিকটি (Phulki new episode)। বিপর্যয় কাটিয়ে, বাড়ি ফিরেছে শালিনী। কিন্তু তার পুরনো দিনের কথা কিছুই মনে নেই। সেটা কি অস্ত্র করে রোহিতকে বিয়ে করতে চায় শালিনী। এমনকি শালিনীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এ কথাও প্রকাশ্যে আসে। এসব কিছু নিয়ে ভেঙে পড়ে রোহিত। রোহিতকে কোণঠাসা করতে থাকে তার জেঠিমণি হৈমন্তী। স্যারকে বাঁচাতে ফুলকি দাঁড়িয়েছে রোহিতের পাশে।
ধারাবাহিকের (Phulki) আগামী পর্বে দেখা যাচ্ছে, রোহিত মাথা ঠান্ডা রেখে বলে যে সে বলেছিল ফুলকির সাথে ডিভোর্স হলে, তবে শালিনীকে বিয়ের কথা ভাববে। ফুলকি বলে, আমি বুঝতে পারছি না যা কিছু করা হবে তার জন্য কেন স্যারকে দায়ী করা হবে। ফুলকি বলে যে স্যার চেষ্টা করছে মেয়েটাকে সুস্থ করার কিন্তু সবাই কথা বলে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে। হৈমন্তী রোহিতকে অপমান করতে থাকে বলে যে শালিনীকে শেষ করবে, এই ছেলের কখনো ভালো হতে পারে না। রোহিত বুঝে যায় তার নিজের কপাল খারাপ সে কিছু না করলেও তাকে ওসব কথা শুনতে হয়।
উল্লেখ্য, ফুলকির (Phulki) মনে প্রশ্ন জাগে যে শালিনী ম্যাডামের এই কথা বাইরে কি করে কেউ জানতে পারলো। ঠিক তখনই রুদ্র এসে গিয়েছে। রুদ্র বলে আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না। ফুলকি বলে, যদি আমি ধরে নি এই কথাটা স্যারের ম্যাডামের মধ্যে হয়েছিল তাহলে বাইরের লোক কেউ কি করে জানতে পারছে। ফুলকি প্রশ্ন করে যে শালিনী ম্যাডাম যদি না বলে থাকে তবে কেউ বাইরের কি করে জানবে? রুদ্র বুঝে যায় যে খেলা বুঝে ফেলেছে ফুলকি।
রোহিতের মা ফুলকির (Phulki) প্রতি আশাবাদী, যে ফুলকি প্রমাণ করবে যে রোহিতের কোন দোষ নেই। মনে মনে রুদ্র ভাবে যে এবার অন্যদিকে চলে যাচ্ছে কথা সেটা অন্যদিকে যেতে দিলে হবে না। রুদ্র বলে এখন সব থেকে বড় কথা শালিনীকে সুস্থ করা। রুদ্র বলে যে শালিনীকে বিয়ে করার প্রস্তাব যদি দিয়ে থাকে সেসব পরে দেখা যাবে। এদিকে শালিনী এসে রোহিতকে বলে তুমি আমাকে বিয়ে করবে বলেছিলে, বলে পুতির মালা পরিয়ে দেয় রোহিতকে।
আরও পড়ুন: মেরুদণ্ডহীন পুরুষ একটা! রাইকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠালো অনির্বাণ! নায়কের কান্ডজ্ঞান দেখে ক্রুদ্ধ দর্শকরা
এবার রোহিত শালিনীর বিয়ের খবর এক সাংবাদিকের কাছে পৌঁছে যায়। এবং সেই খবর প্রকাশ্যে আসে। তাদের খবর বলা হয় রোহিত রায়চৌধুরী একটা ভালো মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সাংবাদিক বলে, রোহিত রায় চৌধুরী যে শাস্তি পায় নি সেই শাস্তি তাকে পেতে হবে। একটি টকশোতে গেছে রোহিত আর সেখানে গিয়েই এমন অপমানের শিকার হয় সে। হৈমন্তী বলে যে সব দিকে কাণ্ডকারখানার কথা। রোহিতের মা বলে আমি কি তাহলে ছেলেকে নিয়ে চলে যাব কোথাও। ফুলকি কান্নাকাটি করতে থাকে, ঠাকুরের নাম করতে থাকে। ফুলকি ভেবে উঠতে পারে না সে স্যারের জন্য কি করবে। এদিকে খুব ভেঙে পড়েছে রোহিত। কি হতে চলেছে ধারাবাহিকে জানতে হলে দেখতে হবে ফুলকি (phulki) ধারাবাহিকটি।