জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকির (Phulki) গল্পে চলেছে এক নতুন মোড়। শ্লীলতাহানির অভিযোগে রুদ্র, শালিনী আর ঈশিতা মিলে ফাঁসিয়েছে রোহিতকে। রোহিত এই সম্পূর্ন বিষয়ে মন ভেঙে গেছে একদম এইসবটার ধাক্কা আর মেনে নিতে পারছেন না সে। তখনই চলে আসে অংশু রোহিতকে গ্রেফতার করার জন্য। তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে ফুলকি। সে অংশুকে বলে রোহিত কোনও দোষ করেনি তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
তখনই বাড়ির সকলেই কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। রোহিত জেঠুমনিকে বলে তিনি যেন এবার আর কিছু না করে তার ভাগ্যে যা আছে তাই হবে কিন্তু এবার তিনি যেন তার হয়ে আর কিছু করতে না যায় কিন্তু জেঠুমনি বলে ওঠেন তিনি রোহিতকে কিছু হতে দেবেন না সে দোষ করেনি তাই সে শাস্তি পাবে না। তখন রুদ্রও বলে ওঠে অংশুকে তার কাজ করতে দিতে সে দেখছে কিভাবে রোহিতকে ছড়ানো যায়। তখন রোহিতকে নিয়ে যায় অংশু। অরুণা সেটা দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। কাবেরীও তখন বলে ওঠে আবার বাড়ির ছেলেকে এইভাবে নিয়ে যাচ্ছে। তখন হৈমন্তী বলে ওঠেন পাপ করলে কেউ ছাড়া পায়না, রোহিতও শাস্তি পাবে।
তখন ফুলকি বলে ওঠে রোহিত যখন নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে ফিরে আসবে তখন তিনি তার কথা ফিরিয়ে নিতে পারবেন তো সেটা শুনেই চুপ করে যায় হৈমন্তী। ফুলকিও সকলকে বলে দেয় সে রোহিতকে ছাড়াবে। কিন্তু রুদ্র মনে মনে ভেবে নেয় কেমন লাগছে ফুলকি দাস, আরও কষ্ট পাবে তুমি। তোমার স্যার অনেক বেড়েছিল, এবার সে শাস্তি পাবে। তখন ফুলকি ধানুকে নিয়ে চলে আসে থানায়। অংশুকে ফুলকি অনুরোধ করে সে রোহিতকে রোজ রাতের খাওয়ার দিয়ে যাবে। সেই কথায় রাজি হয়ে যায় অংশু।
তখন ওসি সাহেব আসে বলেন রোহিতকে জেলে ঢোকাতে, কাল তাকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও সে জামিন পাবে না। তখন ফুলকি বলে রোহিত কোনও দোষ করেনি তাই সে জেলে যাবে না অংশুও তখন বলে রোহিত কোনও দোষ করতে পারেনা তাকে ফাঁসানো হচ্ছে সেটা শুনে ওসি তাকে বলে সেসব নিয়ে তাকে মাথা ঘামতে হবে না। তখন ফুলকিও বলে সে রোহিতকে ছড়িয়ে আনবে। ধানু সবটা দেখে ভয় পেয়ে গেলে ফুলকি তাকে বলে তারাই জিতবে, সে সবরকম সাহায্য করবে। ওদিকে রুদ্র ঈশিতাকে বলে সব ব্যবস্থা করে রাখতে।
পরের দিন রোহিতকে কোর্টে নিয়ে যাওয়ার সময় চলে আসে অরুণা। তাকে কাঁদতে দেখে রোহিত ফুলকিকে বলে তাকে সামলাতে। ফুলকি রোহিতকে বলে সে তাকে কিছু হতে দেবে না। তখন। রুদ্র ঈশিতাকে জিজ্ঞাসা করে মিডিয়া কোথায় তখন ঈশিতা বলে আসছে। শালিনী তবে সে সব ব্যবস্থা করেছে কিন্তু শালিনী বলে “আমি বুঝতে পারিনা এই ফুলকি দাসের এত আত্মবিশ্বাস কোথা থেকে আসে। কিন্তু সব শেষ হয়ে যাবে এবার।” তখনই একজন লাল টুপি পরা লোক চলে আসে রোহিতকে কালী মাখাতে কিন্তু ফুলকি সেটা দেখে নেয়।
আরো পড়ুন: মিঠিঝোরায় বিরাট চমক! শৌর্য্য নয়, রাইয়ের জীবনের নতুন নায়ক হয়ে গ্র্যান্ড এন্ট্রি নিতে চলেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা!
লোকটির হাত ধরে ফুলকি বলে রোহিতের দোষ এখনও প্রমাণিত হয়নি তাই তারা এইসব করতে পারেনা। সব সত্যি সকলের সামনে আসবে, হতে পারে তখন কালী মাখানোর মুখটা বদলে গেল। লোকটি ফুলকিকে প্রশ্ন করে সে কে তখন ফুলকি বলে সে তার ছাত্রী হয় আর সে এটা প্রমাণ করবে রোহিত কোনও দোষ করেনি। তখন আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় রোহিতকে এবং জর্জ চলে আসে এবং জিয়া চলে আসে সেখানে তাকে উকিল বলে যা সেখানেও হয়েছে সেটা বলতে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের ফুলকি কি পারবে এবার রোহিতকে বাঁচাতে?