Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় টেলি ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Kotha)। সাড়ে ৬টার স্লটে প্রতিপক্ষ ধারাবাহিক গীতা LLB (Gita LLB) সঙ্গে কিছুতেই টিআরপিতে(TRP) পাল্লা দিয়ে পেরে উঠছিল না শিমুলের ধারাবাহিক। ফলেই গত সপ্তাহে পরিবর্তন করা হয় ধারাবাহিকের স্লট। সাড়ে ৯টার স্লটে ধারাবাহিকে এসেছে একের পর এক চমক। ধারাবাহিকে এসেছে নতুন নায়ক অনির্বাণ।
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকেও দেখানো হয়েছে পরাগের চাকরিটা জয়েন্ট করেছে শিমুল। শিমুলকে দিয়ে পরাগের সমস্ত কাগজে একপ্রকার জোর করেই সই করিয়ে দিয়েছে পরাগ। পরেরদিন সকলেরই শিমুল দেখা বাড়িতে নেই পরাগ। মধুবালা দেবীকে ডেকে সারা বাড়ি তন্ন তন্ন করে খুঁজে ফেলে শিমুল। তখনই পরাগের ঘরে সে খুঁজে পায় একটি চিঠি। চিঠিতে পরাগ লিখে রেখে গেছে সে স্বইচ্ছায় চলে যাচ্ছে ব্যানার্জী বাড়ি ছেড়ে। শিমুল যেন মধুবালা দেবী এবং তার স্কুলের দেখাশোনা করে এবং একজন ভালো শিক্ষিকা হয়।
দ্বিতীয়বার অ্যা’কসিডেন্টের সম্মুখীন পরাগ (Parag met with an accident for the second time):
সবটা শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়ে শিমুল। তড়িঘড়ি সে ছুটে যায় থানায়। ইন্সপেক্টর অনির্বাণ শিমুলকে জানিয়ে দেয় সে যেন সমস্ত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকে। অনির্বাণের মুখে এই কথা শুনেই ভয় পেয়ে যায় শিমুল। তখন অনির্বাণ শিমুলকে বুঝিয়ে বলে পরাগ নিজের ইচ্ছেতেই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। কোথায় গেছে কেউ জানে না হয়তো অনেক দূরে কোথাও চলে যেতে পারে বা কোন দুর্ঘটনাও হতে পারে। তাই তিনি এরকম কথা বলতেন।
সবটা শুনেই অফিসারের কাছে পরাগকে খোঁজার অনুরোধ করে বাড়ি ফিরে আসে শিমুল। বাড়ি ফিরে মধুবালা দেবীকে জানায় সবটা। বিপাশা আর সুচরিতা আশ্বস্ত করে শিমুলকে। তখনই পলাশ এসে শিমুলকে বলে শিমুলের জন্য পরাগ বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। পরাগের হয়ত কোনও অ্যাক’সিডেন্ট হয়ে গেছে। পলাশের মুখে এই কথা শুনেই খুব রেগে যায় শিমুল। সুচরিতা পলাশকে বলে যার বউ একজন জে’লখাটা আসামী তার মুখে এত বড় বড় কথা মানায়না। মধুবালা দেবীও পলাশকে জানিয়ে দেন তিনি কিছুতেই পলাশকে এই সম্পত্তির কানাকড়িও দেবেন না। সবটা শুনেই রাগে বেরিয়ে যায় পরাগ।
আরো পড়ুন: ২০২৫-এ বিয়ের পিঁড়িতে শ্বেতা-রুবেল! বড় ঘোষণা নায়কের! ওকে ছাড়া আমার ভবিষ্যৎ অসম্পূর্ণ! প্রেমিকাকে নিয়ে অকপট পর্ণার বর!
ওদিকে পরাগ রাস্তায় দিয়ে চলতে চলতে ভাবতে থাকে সে আর শিমুলের কাছে ফিরে গিয়ে শিমুলের জীবন বরবাদ করবে না। কিন্তু তখনই একটা পাথরের লেগে পড়ে যায় পরাগ। তখনই সামনে দিয়ে চলে আসে একটি গাড়ি। গাড়ির চাকা মাথায় গিয়ে আঘাত করে পরাগের এবং অনেকখানি রক্তপাত হয়ে যায়। চালককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। যদিও লোকটি বলেন তিনি পরাগকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন কিন্তু তাতে রাজি হয়নি স্থায়ীরা। অবশেষে পুলিশ এসে পরাগকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। এবার কি প্রাণে বাঁচবে পরাগ? নাকি স্মৃতিভ্রষ্ট হবে সে? আপনাদের কি মনে হয়।