জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) পরাগকে বিষ খাওয়ানোর জন্য গ্রেফতার হয় শিমুল। মধুবালা দেবী প্রথম দিনের হাজিরায় জানান শিমুল ভালো মেয়ে এবং তাদের সকলের খুব যত্ন করে, তাদের সকলকে ভালবাসে কিন্তু এই কাজ সে ছাড়া আর কেউ করতে পারেনা। কারণ প্রতীক্ষা আর পলাশ সবাই এই বিয়েতে রাজি ছিল, শিমুলও মুখে কিছু বলেনি কিন্তু হতে পারে ওর মনে কোনভাবে হিংসা বা কষ্ট হচ্ছিল সেই থেকে ও এই কাজটা করেছে।
পরেরদিন কাকিমাকে ডাকা হয় কাঠগড়ায়। তিনি জানিয়েছেন শিমুল খুব ভালো মেয়ে। সকলের সঙ্গেই সে খুব ভালো ব্যবহার করে। মধুবালা দেবীকে সে নিজের মায়ের মতো ভালোবাসে। প্রথমে তিনি শিমুলকে অপছন্দ করলেও পরে তিনি মেনে নিয়েছিলেন তাকে। তিনি এও বলেন পরাগ, পলাশ এবং প্রতীক্ষায় উল্টে পুজোর সময় শিমুলকে বিষ খাইয়ে ছিল, কিন্তু সে তাও তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলেনি। সেই কথাকেই যাচাই করার জন্য অনির্বাণ কাঠগড়ায় ডাকে বিপাশাকে।
বিপাশাকে সে প্রথমে জিজ্ঞাসা করে তার সঙ্গে শিমুলের সম্পর্কের ব্যাপারে। তারপর তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে পরাগ, পলাশ যে বিষ দিয়ে ছিল এই কথা সত্যি কিনা, তখন বিপাশা বলে এইসব সত্যিই। তারা চেয়ে ছিল ওদের শাস্তি দিতে কিন্তু শিমুল বাধা দেয়। সে তাদের থেকে টাকা নিয়েছিল কিন্তু সেই টাকাও শিমুল তার শাশুড়ি এবং পুতুলের নামে ব্যাংকে জমা করেছে। বিপাশা এও বলে পরাগ সবসময় শিমুলের ওপর অত্যাচার করেছে। এমনকি শিমুলের ওপর মারধরও করেছে।
অনির্বাণ তার কাছে প্রমাণ চাইলে তিনি বলেন, তার কাছে কোনও ছবি নেই সেটা তাকে তিনি এই মুহূর্তে দেখাতে পারেন। কিন্তু পরাগের নামে পুলিশের কাছে অনেক অভিযোগ করা হয়েছিল সেইগুলি এখনও থানায় আছে। তখন অনির্বাণ তাকে বলে এত সব সহ্য করে কেন ওই বাড়িতে ছিল শিমুল। তখন বিপাশা জানায় এর উত্তর বেশি ভালো শিমুল দিতে পারবে কিন্তু শিমুল ওই পরিবার তাকে সবসময় জুড়ে রাখতে চেয়েছিল কারণ আজও মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি ছাড়া থাকলে এই সমাজ মেনে নেয়নি।
আরো পড়ুন: অনুরাগের ছোঁয়ায় এবার বধূ নি’র্যা’ত’ন! সামান্য কথা কাটাকাটিতে তিস্তার মুখে গরম কফি ছুঁ’ড়’ল ভিক্টর!
এইভাবেই প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে বিপাশাকে ফাঁসাতে চাইছিল অনির্বাণ কিন্তু কিছু লাভ হয় না। তখন অনির্বাণ তাকে জিজ্ঞাসা বলে তার কি মনে হয় কে বি’ষ দিয়েছে সেই কথায় বিপাশা বলে তার সন্দেহ পলাশ এবং প্রতীক্ষার ওপর। সেই কথা শুনে রেগে যায় পলাশ এবং কাঁদতে থাকে প্রতীক্ষা। তখন তাদের থামিয়ে অনির্বাণ বলে বিপাশার কাছে কোনও প্রমাণ আছে নাকি। তখন বিপাশা বলে সেইরকম কোনও প্রমাণ না থাকলেও তাদের নাম বলতে তাদের এইরূপ আচরন এবং কান্নাকাটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারাই দোষী। কারণ কোনও ভুল না করলে কেউ এইভাবে ভয় পায়না। সেই কথা শুনে অবাক হয় অনির্বাণও। তবে কি অবশেষে ধরা পড়ে যাবে প্রতীক্ষা?