সারা বিশ্ব খ্যাতি সম্পন্ন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। টলিউড (Tollywood) হোক বা বলিউড তার অভিনয়, নাচ, অ্যাকশন দিয়ে বারবার তিনি জিতে নিয়েছেন দর্শকদের মন। বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, তামিল সহ নানা ভারতীয় ভাষায় প্রায় ৩৫০ টিরও বেশি সিনেমা করেছেন তিনি। ৭৩ বছরের এই অভিনেতা তার অভিনয় জগতে পথ চলা শুরু করেছিলেন মৃণাল সেনের সিনেমা মৃগয়া দিয়ে। অনেক বছর পর তাকে গত বছর তাকে দেখা গেছিল জি বাংলার জনপ্রিয় শো ড্যান্স বাংলা ড্যান্সে। তার সঙ্গে এই বছর বিচারক হিসেবে ছিলেন মৌনী রায়, শুভশ্রী গাঙ্গুলি, পূজা ব্যানার্জী এবং শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী, এই বছরের সঞ্চালনায় ছিল অঙ্কুশ।
একের পর এক সুপার হিট সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন সিনেমা প্রেমীদের। জানা যায় চলতি বছরেই পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত হচ্ছেন তিনি। গতমাসে এই বিষয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করে তিনি বলেন “অনেক বছরের কষ্ট এবং পরিশ্রমের পর, আমি অবশেষে এত বড় একটা সম্মান পেতে চলেছি। কারুর কাছে কিছু চাইনি কোনও দিনও তার পরিবর্তে যে এত বড় সম্মান পাবো তা কখনও ভাবিনি। আমি আমার ভাবনা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমি অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাদের সকলকে, দেশ- বিদেশের সকলকে এত ভালোবাসা দেওয়ার জন্য। আমি সত্যিই আপ্লুত।”
সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে মিঠুন পুত্র মিমো চক্রবর্তী, পিতার পদ্মভূষণ সম্মান পাওয়ায় তার আনন্দ ব্যক্ত করে জানিয়েছেন “আমার কাছে আমার আনন্দ প্রকাশ করার মত ভাষা নেই। এই ধরনের মুহূর্ত আমার জীবনে আসবে আমি ভাবতে পারিনি। আমি খুব গর্ব অনুভব করছি। আমি খুব খুশি বাবার জন্য। তিনি এই পুরস্কারের সত্যিই যোগ্য দাবিদার। আমরা সকলেই সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ আমার বাবাকে এত বড় একটি সম্মান দেওয়ার জন্য। আমি তার ছেলে হিসেবে নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলে করি, আমি খুব গর্বিত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের সকলকে।
এই বছরই মিঠুন চক্রবর্তী শুরু করেছিলেন সোহম চক্রবর্তী প্রযোজিত সিনেমা শাস্ত্রী। বহুবছর পর দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে তিনি জুটি বাঁধতে চলেছেন পর্দায়। সিনেমাটি তার উৎসাহ তিনি আগেই ব্যক্ত করেছিলেন সাংবাদিকদের সামনে। তবে ইতিমধ্যেই ঘটে গেল দু‘ঘটনা। শনিবার সকালে তিনি গেছিলেন শাস্ত্রী সিনেমার শুটিং করতে। সেখানেই হটাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব করেন তিনি।
তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতার বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তৃণমূলের অভিনেতা এবং বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে তার, তিনি এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার পরিস্থিতি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি তার পরিবারের কেউনি। তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।