এই মুহূর্তে স্টার জলসার (Star Jalsha) ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa)। এই মুহূর্তে তিনটি খাতে বইছে গল্প। একদিকে দীপা রূপার চিকিৎসা টাকা জোগাড়ের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। শ্বশুরবাড়িকেও নিজের অধিকার ফিরিয়ে দিতে তৎপর। অন্যদিকে, বিবেক দংশনে জেরবার সূর্য। দীপার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর সংসারের মায়া কাটিয়ে অনেক দূর দেশে পাড়ি দিয়েছে। সম্ভবত, পশ্চিমের কোনো প্রত্যন্ত গ্রামে মানুষের চিকিৎসা করে দিন কাটছে তার। কারোর সঙ্গে মায়ায় জড়ানোর সম্ভবনা নেই। আর জড়াতেও চায়না সূর্য। একাই থাকতে ভালোবাসে সে।
এদিকে, গ্রামের লোকের কাছে খিটখিটে ডাক্তার হিসেবে পরিচিতি বেড়েছে তার। কিন্তু সকলে জানে ড. সূর্য সেনগুপ্ত রুক্ষ স্বভাবের হলেও, মনটা ভাল। জীবনে তার নিশ্বয়ই কোনো ব্যথা আছে। এদিকে, সূর্যের কাছে ডাক্তারির ইন্টার্নশিপ করতে এসেছে ইরা।
প্রাণচ্ছ্বল ছটফটে মেয়ে ইরা। কথা বলতে ভালোবাসে। ডাক্তারির পাশাপাশি আবার ভ্লগও করে। পেশা আর নেশা নিয়ে মেতে আছে সে। জীবনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই। প্রথমে সূর্য সাফ জানায়, তিনি চান না ইরা তার কাছে ইন্টার্নশিপ করুক। কিন্তু গ্রামের সকলের অনুরোধে ইরাকে রাখতে রাজি হয় সূর্য। তবে ইরাকে চ্যালেঞ্জ করে সে নাকি সাতদিনের মাথায় পালিয়ে যাবে।
অন্যদিকে, তিস্তা শ্বশুরবাড়িতে সকালে স্যান্ডউইচ বানাচ্ছে। তার বাপের বাড়ির সকলে দীপার বাড়ি গিয়ে উঠেছে। তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা দরকার। তখনই রান্নাঘরে আসে ভিক্টর। জানতে চায় তিস্তা তার জন্য স্যান্ডউইচ বানাচ্ছে কিনা? তিস্তা জানায়, সে তার বাড়ির লোকের জন্য স্যান্ডউইচ বানাচ্ছে। একথা শুনে তেতে ওঠে ভিক্টর।
আরো পড়ুন: বাড়িতেই সংজ্ঞাহীন! তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হল তারকা অভিনেত্রী নুসরাতকে! কী হয়েছে তার?
ভিক্টর বলে, ওই বাড়ির সকলের জন্য খাবার বানাতে কী ভিক্টরের অনুমতি নিয়েছে সে? তিস্তার বক্তব্য নিজের বাড়ির লোকের জন্য কি এইটুকু করতে পারে না। এই বলেই কথা কাটাকাটি লাগে দুজনের। আর তখনই তিস্তার মুখে কফি ছুঁড়ে মারে ভিক্টর। ছেলের এহেন কীর্তি দেখে ছুটে আসে পৃথা। কোনও মতে তিস্তাকে চটানো যাবে না। তখনই সেখানে আসে তিস্তার ছোড়দা। পৃথা বলে বাড়ির ভিতরের কথা বাইরে বলতে নেই। এই বলে, মুখ মুছিয়ে পৃথাকে বাইরে পাঠায় পৃথা।