Connect with us

Bangla Serial

Kar Kachhe Koi Moner Kotha: শিমুলের খেল খতম করতে বিষ মেশানো সিদ্ধির গ্লাস তুলে দিল কুটনি প্রতীক্ষা! আজ বড় চমক

Published

on

KKMK ZeeBangla

এই মুহূর্তে দর্শকদের মনের পাশাপাশি টিআরপিতে ঝড় তুলেছে যে ধারাবাহিকটি সেই ধারাবাহিকটির নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) । দর্শকরা এখন এই ধারাবাহিকের মোহে তীব্রভাবে আচ্ছন্ন।‌ আসলে গল্প ভালো গল্প হলে তা দর্শক আকর্ষণ করবেই। আর সেই সঙ্গে গল্প যদি বাস্তবধর্মী হয় তাহলে তো কথাই নেই।

উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকটিতে রয়েছেন একাধিক সব নামজাদা অভিনেতা-অভিনেত্রী। অভিনয়ের ক্ষেত্রে এক একজন অন্যজনকে দারুন রকম ভাবে টক্কর দিতে সক্ষম। অভিনয়গুণে এবং বাস্তবধর্মী গল্পের মিশেলে আজ এই ধারাবাহিকটি এতটা সাফল্য মন্ডিত হয়ে উঠেছে। টিআরপিতে দারুন রকম ফল করছে এই ধারাবাহিকটি। বর্তমান সময়ের টিআরপি অনুযায়ী চতুর্থ স্থানে রাজত্ব করছে এই ধারাবাহিকটি। ‌

বলাই বাহুল্য, সমাজের ভীষণ‌ই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে এই ধারাবাহিকে তুলে ধরা হয়েছে। আর সেটি হল বধূ নি’র্যা’ত’ন। এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে নায়িকা শিমুলের এমন একটি পরিবারে বিয়ে হয়েছে যে পরিবারে নারীদেরকে পণ্য ছাড়া আর কিছুই মনে করা হয় না। এখানে যে কোন সময় নারীদের গায়ে হা’ত তোলা যায়। বৈবাহিক ধ’র্ষ’ণ করা যায়।

এই বাড়ির দুই পুরুষ সদস্য বিশ্বাস করে নারী সব সময় পুরুষের পায়ের তলায় থাকবে। তথাকথিত শিক্ষিত সমাজের দুই প্রতিনিধি হয়েও পরাগ এবং পলাশের চিন্তাধারা ভীষণ গোঁড়া। প্রতিনিয়ত স্বামী পরাগের
হাতে অত্যাচারিত হয়ে শিমুল কিন্তু প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছে। একই সঙ্গে বেছে নিয়েছে জীবনে খুশি থাকার উপায়। কিন্তু নারী তো সব সময় পুরুষের অঙ্গুলি হেলনে চলবে। সে কেন আনন্দ করবে? আর তাই শিমুলের স্বামী পরাগ এবং তার দেওর পলাশের সেই সুখ সহ্য হচ্ছে না।

বিশেষ করে পলাশ তার দাদাকে প্রতিনিয়ত নিজের বৌদির বিরুদ্ধে উস্কোচ্ছে। এমনকী তাকে খ’ত’ম করে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছে। এমনকী পুজোর দিনে মাকে বৌদিকে আনন্দ করতে দেখে শিমুলকে বড়সড় বিপদের মুখে ফেলার পরিকল্পনাও করে ফেলে পলাশ। এমনকি তাতে যদি শিমুলের প্রাণও চলে যায় তাহলেও তাদের কিছু এসে যাবে না সেটাও সে বোঝায় তার দাদাকে। আর ভাইয়ের বুদ্ধিতেই পরিচালিত হয় পলাশ।

পরিকল্পনামাফিক দশমীর দিন শিমুলের সিদ্ধিতে বি’ষ মেশায় পরাগ-পলাশ। শিমুলরা ঠাকুর ভাসান দিয়ে চলে এলে সবাইকে নিজের হাতে মিষ্টিমুখ করায় মধুবালা। অন্যদিকে সবার হাতে সিদ্ধির গ্লাস হাতে তুলে দিতে থাকে পরাগ। বিশেষ করে বিষ মিশানো থাকায় সে শিমুলের হাতে তুলে দিতে যায়। কিন্তু পরাগের হাত থেকে নেয় না শিমুল। তখন পরাগের কথায় সেই সিদ্ধির গ্লাস বিশেষভাবে শিমুলের হাতে তুলে দেয় কুটনি প্রতীক্ষা। আর প্রতীক্ষা দেওয়ায় সেই
শরব‌ৎ খেয়ে নেয় শিমুল। এবার কী হবে?