জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মেঘের পথেই হাঁটছে রাই! মেরুদণ্ডহীন, অবিশ্বাসী স্বামীকে ছেড়ে আত্মসম্মানে বলীয়ান রাই

জি বাংলার ( Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা ( Mithijhora)। ধারাবাহিকের মুখ্য নায়িকা রাইপূর্ণা। মেঘ, শ্যামলীর পর এবার সম্পর্ক, স্বামী, সংসারের চেয়ে আত্মসম্মানকেই বেছে নিল সে। বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিকের ( Bengali Serial) সংজ্ঞাটাই বদলে দিয়েছেন ধারাবাহিকের দর্শক। এখন আর পতিব্রতা স্ত্রী নয়। ছক ভাঙা নারীদের গল্পই দেখতে পছন্দ করেন তারা।

মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ১১ই সেপ্টেম্বর (Mithijhora Today Episode 11th September)

মিঠিঝোরার এদিner পর্বে এমনই নজির গড়লো রাই। এদিনের পর্বে দেখা যায়, রাইয়ের শারীরিক অবস্থার ভাল নয়। এই মুহূর্তে একজন ডাক্তার হিসেবে তার খেয়াল রাখছে স্রোত। কিন্তু দিদিকে এরকম অবস্থায় দেখে বারবার ধাক্কা লাগছে তার মনে। ভেঙে পড়ছে। স্রোতকে এমন ঘন ঘন ভেঙে পড়তে দেখে তাকে বোঝায় সার্থক স্যার। এই মুহূর্তে এই একজন বোন নয়। সে ডাক্তার। স্রোতের উচিত রাইকে একজন পেশেন্টের মতো ট্রিট করা।

Mithijhora Bengaliserial

তবে নিজের দিদিকে একজন পেশেন্টের মতো ট্রিট করা সত্যিই কঠিন। এই মুহূর্তে স্রোত ভাবছে সে কী করে রাইকে সুস্থ করে বাড়িতে নিয়ে যাবে? সার্থক তাকে বলে সেদিন আসতে আর বেশিদিন বাকি নেই। এদিকে, হাসপাতালে অনির্বাণের জন্য কড়া বিধিনিষেধ জারি করেছে রাইয়ের পরিবার। অনির্বাণকে যেন কিছুতেই রাইয়ের কাছে যেতে দেওয়া না হয়। তাই অনির্বাণ মরিয়া চেষ্টা করলেও লাভ হয় না।

এদিকে অপারেশনের পর এখন খানিকটা সুস্থ রাই। স্রোত এসে দিদিকে বলে সে না থাকলে মানসিক ভাবে আশ্রয়হীন হয়ে পড়বে। রাই বলে সে ভাল আছে। তারপরই নার্স যে জিজ্ঞেস করে রাই কি তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে চায়? কারণ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানান ঝামেলা বা সমস্যা হতেই পারে। তবে সে সব ব্যতি রেখে যদি রাই এই মুহূর্তে দেখা করতে চায়।

রাইপূর্ণা সাফ জানায়, সে অনির্বাণের সঙ্গে দেখা করতে চায় না। তখন হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয় যখন পেশেন্ট অবধি তার সঙ্গে দেখা করতে চাইছে না, তখন অনির্বাণের ভিতরে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। রাইয়ের এই সিদ্ধান্ত ঠান্ডা মাথায় বিবেচিত। তার সিদ্ধান্তকে ইচ্ছে পুতুলের মেঘের কথা মনে করিয়ে দেয়। মেঘ যে মেরুদণ্ডহীন, অবিশ্বাসী স্বামীকে ছেড়ে আত্মসম্মানে বলীয়ান থেকেছেন। মেঘের পথেই হাঁটছে রাই।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।