জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। ধারাবাহিকে একের পর এক চমকের কারণে ধীরে ধীরে বাড়ছে জনপ্রিয়তা। সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে চাকরি পেয়ে গেছে রাই। সেই খুশিতে সে বাড়িতে গিয়েই সকলকে চিৎকার করে চাকরি পাওয়ার সংবাদটি জানায় সে। তখন বৌমনি রাইয়ের কথাটা শুনেই বলেন সে এই সংবাদটি শোনার জন্যই তিনি অপেক্ষা করে ছিলেন।
তখন নন্দিনীও রাইকে বলে তিনিও খুব খুশি হয়েছেন। কিন্তু নীলু তখন তাচ্ছিল্য সুরে রাইকে বলে তার বস যুবক নাকি! এই কথা শুনেই রেগে যায় রাই। সে নীলুকে বলে নিজেকে আর নীচে না নামাতে। এই নিয়েই তর্কাতর্কি শুরু হয় রাই আর নীলুর মধ্যে। তখন নন্দিনী বলেন রাইকে যেন নীলু এইভাবে অপমান না করে। মায়ের কথা শুনেই তখন চুপ হয়ে যায় নীলু। পরের দিন সকালে বাড়ির সবার জন্য রান্না করে অফিসে যায় রাই।
অফিসে গিয়ে সে দেখে অনির্বাণ রেগে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সেটা দেখেই অনির্বাণের কাছে গিয়ে রাই সরি বলে। অনির্বাণ তাকে জিজ্ঞাসা করে তার আসতে দেরি হল কেন? তখন রাই তাকে জানায় তার বাড়িতে সকলেই অসুস্থ। সবার জ্বর হয়েছে। তাই সবার জন্য রান্না করে তাকে অফিসে আসতে হয়েছে। সেটা শুনে অনির্বাণ রাইকে জিজ্ঞাসা করে সে কিছু খেয়েছে কিনা। তখন রাই তাকে জানায় সে চা বিস্কুট খেয়ে এসেছে। সেটা শুনেই অনির্বাণ তাকে বলে দুপুরে যেন রাই তার সঙ্গে লাঞ্চ করে।
প্রথমে তাকে বারন করে দেয় রাই। কিন্তু পরে অনির্বাণ যখন বলে তার কাছে তার কর্মচারীরাই সব। তাই তিনি যা বলছেন রাইকে সেটাই করতে হবে। এটা শুনে রাজি হয়ে যায় রাই। অনির্বাণ তাকে এও বলে অফিসের টাকায় তাকে ইংরেজির কোচিং নিতে। তখন প্রথমে তাকে বারন করে দেয় রাই। কিন্তু পরে অনির্বাণ জড়াজড়ি করায় আর কিছু বলতে পারেনা সে। লঞ্চের সময় অনির্বাণকে খাওয়ার বেড়ে দেয় রাই।
আরো পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! এই সপ্তাহের টিআরপিতে ফের বাজিমাত ফুলকির! সেরা পাঁচে রয়েছে কারা?
তারপর অনির্বাণ তাকে জিজ্ঞাসা করে তার প্রেমিককে ব্যাপারে। তখন অনির্বাণকে শৌর্য্য আর নীলুর বিয়ে সম্পূর্ন ঘটনাটা খুলে বলে রাই। সবটা শুনেই রাইয়ের প্রশংসা করেন অনির্বাণ। তখন অনির্বাণকেও এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে রাই। অনির্বাণ তাকে জানায় তার স্ত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে চলে গেছে। এটা শুনে থমকে যায় রাই। সে অনির্বাণকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এই সব বলার পর অনির্বাণ খাওয়ার ছেড়ে উঠে যেতে চায়। তখন রাই তাকে বাধা দিয়ে বলে খাওয়ার ফেলে যেতে নেই। রাইয়ের কথা শুনে আবার খেতে বসে অনির্বাণ। তাহলে কি এবার রাইয়ের জীবনে ফুটবে ভালোবাসার ফুল?