জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকিতে চলছে মান অভিমানের পালা। রোহিতকে খুশি করার জন্য শালিনীর সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফুলকি। তাই ধানুর সাহায্যে রোহিতকে ডিভোর্সের নোটিশ পাঠায় ফুলকি। কিন্তু ফুলকিকে ডিভোর্স দিতে নারাজ রোহিত। ফুলকিকে দেখানোর জন্য শালিনীর সঙ্গে ডেটে যায় রোহিত কিন্তু ফুলকি সেই কারণে রেগে যায় আরও। তাই তার মান ভাঙাতে রসগোল্লা নিয়ে আসে রোহিত।
সেই রসগোল্লা দেখে বেজায় খুশি হয় ফুলকি। রোহিতও নিজের হাতেই মিষ্টি খাইয়ে দেয় ফুলকিকে। কিন্তু সেইসময় সেখানে চলে আসে পারমিতা, তমাল, পিয়াল সকলেই। রোহিত সেখানে দেখে অবাক সকলেই। ধানু এবং পারমিতা তাকে প্রশ্ন করে কেন সে এখানে এসেছে। সে কথার কিন্তু সেই কথার কোন উত্তরই দিতে পারেনা রোহিত। সকলে মিলে তার ওপর হাসাহাসি করতে থাকে কিন্তু তাকে কটাক্ষ করে প্রচুর। সেটা দেখেই বেশ রেগে যায় রোহিত।
তখন তমাল রোহিতকে জিজ্ঞাসা করে সে কি করে এসেছে এই ঘরে? সেই কথা শুনে ফুলকি উত্তরে বলে রোহিত জানালা দিয়ে এসেছে ঘরে। সেই কথা শুনে অবাক হয় সকলে। রোহিতকে নিয়ে আরও ইরাকি করতে থাকে সকলে সেটা দেখে রেগে বকা দেয় রোহিত। তখন পারমিতা রোহিতের সঙ্গে ফুলকিকে কথা বলতে দেবে না বলে তাকে নিয়ে চলে যায় বাইরে। তখনই সুযোগ বুঝে ঘরে চলে আসে শালিনী। রোহিতকে নানাভাবে উস্কানির চেষ্টা করতে থাকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য।
শালিনী তাকে বলে সকলে তাকে এত রাগাছে কেন সে ফুলকিকে ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছে না তখন রোহিত শালিনীকে জানিয়ে দেয় সে কিছুতেই ডিভোর্স দেবে না ফুলকিকে। শালিনী তখন তাকে বলে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা যায়না। সে তাদের দুজনেরই সুযোগ নিচ্ছে তখন রোহিত বলে ফুলকি ছেলেমানুষ তাই এই বিষয়গুলি বুঝছে না। তবে রোহিত তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলে তার ভবিষ্যত নষ্ট হয়ে যাবে তাকে ফিরে যেতে হবে ওই বাড়িতেই। তার বক্সিং কেরিয়ারও নষ্ট হয়ে যাবে। শালিনী তখন রেগে নিয়ে বলে তাহলে কেন তাকে বাঁচালো রোহিত।
সেই কথা গুলো বাইরে থেকে শুনে নেয় সকলে। আর ফুলকি ভাবতে থাকে তার জন্যই তার স্যারের জীবন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ওদিকে রোহিত শালিনীকে জানায় যে শালিনী একটা ভুল করছিল তাই সেটার জীবন বাঁচিয়েছে আর কিছু নয়। তবে মুখে না বললেও পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দেয় সে তাকে বিয়ে করতে চায়না আর তার ফিরে যাওয়া উচিত। তখন শালিনীও অবাক হয়ে যায় আর ভাবে এবার রুদ্রকে বলতে হবে আর আমি চলে যাবে এইভাবে অপমান আর সহ্য করব না। ওদিকে জেঠুমনির কাছে গিয়ে সবটা তাকে জানায় সবাই ফুলকিও কাঁদতে থাকে তখন তিনি বলেন এটাই চালিয়ে যেতে সব ঠিক হয়ে যাবে।