নতুন গল্পের মোড় ঘুরতেই আবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক চিরদিনই তুমি যে আমার। নানা উত্থান পতনের পর অবশেষে আর্য এবং অপর্ণার সম্পর্ক ক্রমশ গাঢ় হয়ে উঠছে। অনুরাগীদের দীর্ঘদিনের ইচ্ছেই ছিল এমন প্রেম ভরা মুহূর্ত পর্দায় দেখতে পাওয়া। তাই নতুন ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকদের একাংশ উচ্ছ্বসিত হয়ে জানান তারা আরও এমন দৃশ্য দেখতে চান। তবে অন্য একটি অংশ মনে করছে রোমান্স কিছুটা বেশি হয়ে যাচ্ছে।
এই বিতর্কের মাঝেই সামনে এলো পর্দার মীরা চরিত্রে অভিনয় করা তন্বী লাহা রায়ের মতামত। শুরু থেকেই মীরার মনে আর্যকে নিয়ে ছিল আলাদা টান। তাই আর্য অপর্ণার ক্রমশ বাড়তে থাকা কাছাকাছি আসা নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া যে তাঁকে ঘিরেও আসবে তা অবাক হওয়ার নয়। তন্বী মীরা হিসেবে জানালেন যে মীরাকে প্রশ্ন করা হলে সে অবশ্যই দর্শকদের অনেকের সঙ্গে সহমত জানাবে। তবে তিনি একই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন যে নাটকীয়তা ছাড়া ধারাবাহিকের গতি ধরে রাখা সম্ভব নয়।
তন্বীর মতে চিত্রনাট্য এমনভাবে সাজানো হয় যাতে গল্প এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় আবেগ এবং টানটান উত্তেজনা থাকে। তিনি বলেন যে তারা অভিনেতারা নিজেদের কাজ সঠিকভাবে করতে চান এবং গল্পে যদি রোমান্সের প্রয়োজন থাকে তবে তা দেখানোতেই স্বাভাবিকতা আছে। তার মতে সব মিলিয়েই তো তৈরি হয় নাটকীয় পরিবেশ যা দর্শকদের টিভির সামনে আটকে রাখে। তাই গল্পের শৈল্পিক দিক বিবেচনা করলে এই রোমান্স একেবারেই অতিরিক্ত নয়।
ধারাবাহিকটি নিয়ে শুরু থেকেই ছিল নানা আলোচনা। প্রথমদিকে অপর্ণা চরিত্রে দেখা যেত দিতিপ্রিয়া রায়কে। গল্পের মাঝপথে তাঁর পরিবর্তে নায়িকা হয়ে আসেন শিরিন পাল। নায়িকা পরিবর্তনের পরও দর্শকদের ভালোবাসা কমেনি বরং শিরিনকে কেন্দ্র করেই নতুন উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। নতুন অপর্ণা এবং আর্যের নতুন রসায়ন এখন দর্শকদের প্রিয় নজরকাড়া বিষয়।
আরও পড়ুনঃ “আলাদা থাকার সামর্থ্য না থাকলে বিয়ে করো না”— ছেলেকে কেন বলেছিলেন মিঠু চক্রবর্তী? রাগ কমাতে কী থেরাপি নিতেন অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী? অকপট অভিনেতা
সব মিলিয়ে আর্য এবং অপর্ণার রোমান্টিক অধ্যায় ধারাবাহিকটিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। দর্শকদের প্রত্যাশা যেমন বেড়েছে তেমনই বেড়েছে বিতর্কও। তবে সৃজনশীল দিক থেকে দেখলে গল্পের এই পর্ব গল্পকে শুধু এগিয়েই নিচ্ছে না বরং চরিত্রগুলোকেও আরও স্পষ্টভাবে ফুটিয়ে তুলছে। সামনে কী চমক অপেক্ষা করছে তা দেখতেই এখন অপেক্ষায় জি বাংলা প্রেমীরা।
