জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“আলাদা থাকার সামর্থ্য না থাকলে বিয়ে করো না”— ছেলেকে কেন বলেছিলেন মিঠু চক্রবর্তী? রাগ কমাতে কী থেরাপি নিতেন অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী? অকপট অভিনেতা

বিনোদন জগতের তারকারা পর্দার সামনে যেমন উজ্জ্বল, ঠিক তেমনই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনেও থাকে নানা টানাপোড়েন, শিক্ষা আর অভিজ্ঞতার গল্প। অভিনয়ের গ্ল্যামারের আড়ালে তাঁরাও খোঁজেন নিজের মতো করে সুখ, পরিবার আর মানসিক শান্তির পথ। সেই তালিকায় নাম যোগ করলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী।

টলিউডে গৌরব চক্রবর্তী শুধু সুদর্শন নায়ক নন, তিনি বহু পরীক্ষামূলক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মন জিতেছেন। বাবা সব্যসাচী চক্রবর্তী তাঁর জীবনের অন্যতম প্রেরণা—এ কথা তিনি বহুবার বলেছেন। কাজের ব্যস্ততার মাঝেও গৌরব পরিবারকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। স্ত্রী ঋদ্ধিমা ও ছেলে ধীরকে নিয়ে সময় পেলেই বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। সদ্য বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেও তিন জনে ছোট্ট ভ্রমণে গিয়েছিলেন।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা শেয়ার করেছেন। গৌরব বলেন, তাঁর মা ছোটবেলায় এক বার বলেছিলেন—“আলাদা থাকার সামর্থ্য হলে তবেই বিয়ে করো। এতে সম্পর্ক ভাল থাকে।” গৌরব জানান, এই কথাটা তাঁর জীবনের মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের সংসারের স্বাধীনতা, স্পেস আর দায়িত্ব—সবটাই এই শেখার মধ্যেই রয়েছে।

এছাড়াও খোলাখুলি স্বীকার করেছেন নিজের স্বভাবের দুর্বল দিক। গৌরব জানান, আগে তিনি খুব তাড়াতাড়ি রেগে যেতেন, কথার খাতিরে অনেক সময় অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দিতেন, পরে নিজেরই আফসোস হতো। তাঁর কথায়, রাগের বশে এমন কিছু কাজ করেছেন যা পরে মনে হতো করা উচিত হয়নি। সেই কারণেই মানসিক শান্তির জন্য তিনি থেরাপিও নিয়েছিলেন এবং আজ এর ফলেই নিজেকে অনেক বেশি সংযত রাখতে পারেন।

অভিনেতার এই সরল স্বীকারোক্তি আবারও মনে করিয়ে দেয়—তারকারাও মানুষ, তাঁদেরও মানসিক চ্যালেঞ্জ থাকে। তবে গৌরবের মতো কেউ যখন নিজের দুর্বলতা ও শেখার পথ প্রকাশ্যে শেয়ার করেন, তা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে। তাঁর কথায়—সম্পর্ক, কাজ আর পরিবার—সবই টিকে থাকে বোঝাপড়া আর মানসিক শান্তির উপর।

Piya Chanda