জি বাংলার (Zee Bangla) ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Madhu) ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো আউট। ঈশা, মৌমিতা আর কৃষ্ণাড় ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ফের কাছাকাছি এসেছে সৃজন আর পর্ণা। দত্ত বাড়ির উঠোনেই ফের অগ্নিসাক্ষী করে পর্ণার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছে সৃজন। সম্পর্কের জটিলতা কাটিয়ে ফের কাছাকাছি আসতে সক্ষম হয়েছে দুজন।
সাম্প্রতিক ধারাবাহিকগুলির থেকে একেবারে অন্যরকম এই সিরিয়ালের গল্প। ঝাঁ চকচকে ড্রয়িংরুমের বদলে গল্প এগোচ্ছে উত্তর কলকাতার বনেদি বাড়ির মলিন উঠোনে। নায়িকা পর্ণা চায় শ্বশুরবাড়ির অচলায়তন ভেঙে কর্মরতা হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে।
তবে যে সে চকরি নয়। সুপ্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক হতে চায় পর্ণা। তাঁর জীবন সংগ্রামের সঙ্গে একাত্ম হতে পারছেন এই প্রজন্মের মেয়েরা। মধ্যবিত্ত বাড়ির খুঁটিনাটিতে নিজেদের জীবন খুঁজে পাচ্ছেন দর্শকরা। এই ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে অবশ্য গল্পের গরু গাছে ওঠেনি বলেও মত সিরিয়াল প্রেমীদের।
টিআরপি চড়াতেই গল্পে এক্সট্রা ট্যুইস্ট আনছে জি বাংলা। ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকও পড়ছে এর মধ্যেই। আর নতুন ট্যুইস্টে সাড়া ফেলছে দর্শক মহলে। ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের গল্প এখন কোন পথে গড়ায়, তার দিকে চাতক পাখির মত চেয়ে সিরিয়ালের দর্শকরা।
কিছুদিন আগে দেখা গিয়েছিল, রুচিরা মিত্রকে খুনের দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন সাংবাদিক আলোকপর্ণা দত্ত। রুচিরা অর্থাৎ পর্ণার বন্ধু আর দেওরের বউ পুলিশের গাড়িতে করে থানায় এসেছে পর্ণা। মনে মনে বলছে, ‘এ তুমি কী করলে জগু দাদা? আমি যে নির্দোষ! সৃজন তুমি কোথায়?’ এরপর সৃজন গিয়ে পর্ণাকে উদ্ধার করে পুলিশ স্টেশন থেকে। রুচিরা খুনের রহস্য ফাঁসে কোমর বেঁধে নেমে পরেন দম্পতি।
আর সেই খুনের তদন্তে জুতোর খোঁজ করতে করতেই গন্তব্যে পৌঁছে যায় পর্ণা আর সৃজন। আর দরজায় ধাক্কা দিতেই সামনে দরজা খোলে রুচিরা। তাঁকে দেখেই অবাক বনে যায় দুজন। কিন্তু একি রুচিরার কপালে বন্ধুক ঠেকিয়ে আছে কে? রুচিরার মাথায় বন্ধুক তাক করে ছিল রনি। রনিকে দেখে সৃজন জিজ্ঞেস করে'”তুই এখানে কি করছিস!” রনি বলে, “পর্ণাকে ফাঁসাতে আমিই গুলি করেছিলাম। প্রয়োজনে আবারও করবো।”