Phulki Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি (Phulki)। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি মন জয় করে এসেছে দর্শকদের। ফুলকির দুষ্টুমি, তীক্ষ্ম বুদ্ধি এবং রোহিতের সঙ্গে ফুলকির রসায়ন সবটাই বেশ পছন্দ করেন দর্শকরা। সে কারণেই বেশ কয়েকবার টিআরপি (TRP) তালিকায় শীর্ষস্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়েছে ফুলকি। আইপিএলের কারণে ধারাবাহিকের টিআরপিতে প্রভাব পড়লেও আবার বাড়বে ধারাবাহিকের টিআরপি এমনটাই আশাবাদী দর্শকরা।
তবে বর্তমানে ধারাবাহিকের কাহিনীতে এসেছে নতুন মোড়। ছন্দকের কেসটা কোর্টে আবার তোলার সিদ্ধান্ত নেয় ফুলকি। শুরু থেকেই ফুলকির সন্দেহ হয়েছিল এই কেসের সঙ্গে যুক্ত আছে ঈশিতা। হলোও তাই। ছন্দকের মা এসে ছন্দককে বললেন ঈশিতার তার ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। ঈশিতাই জয়িতার ক্ষতি করেছে। কথাটা শুনেই চমকে যায় সবার। এরপর ক্রমাগত ঈশিতাকে চাপ দিতে থাকে ফুলকি। অবশেষে নিজের দোষ স্বীকার করে নেয় ঈশিতা। যদিও একবারও সে নাম করেনি রুদ্রর।
ফুলকি আজকের পর্ব ২২ মে (Phulki Today Episode 22 May)
ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে দেখা গেছে ফুলকি ঈশিতাকে ক্রমাগত জোর করতে থাকে সত্যিটা বলার জন্য। ফুলকি ঈশিতাকে জিজ্ঞাসা করে তার সঙ্গে এই সব কিছুতেই কে ছিল? কার সাহায্যে এই সবটা করেছে ঈশিতা। তখনই শরীর খারাপের নাটক করে রায় চৌধুরী বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি চলে যায় রুদ্র। রুদ্রও কান্ড দেখে সন্দেহ হয় ফুলকি এবং লাবুর। যদিও তখন কিছু না বলেই রুদ্রর পিছন পিছন বেরিয়ে যায় লাবু আর রিকি।
রুদ্রর পর্দাফাস করার পরিকল্পনা করল ফুলকি
রুদ্র চলে যাওয়ার পর রাগারাগি করতে থাকেন হৈমন্তী। তখন ফুলকি এবং অরুণার পাশে এসে দাঁড়ায় রোহিত। রোহিতের এরকম রূপ দেখে কিছু না বলেই ঘরে চলে যান জেঠিমণি। কিন্তু রুদ্রর এরকম আচরণের আরও বেড়ে যায় ফুলকির সন্দেহ। ফুলকি রোহিতকে জানা তার সন্দেহের কথা। তখন রোহিত বলে সে তাও সবটা ঠিক লাগছে না। তখন ফুলকি ফোন করে রুদ্রর খবর নেয় লাবুর কাছ থেকে। লাবু ফুলকিকে জানায় তারও সন্দেহ হয়েছে। সেটা শুনেই ফুলকি ভেবে নেয় এবার তাকে এমন কিছু করতে হবে যাতে রুদ্রর সমস্ত সত্যিটা সকলের সামনে চলে আসে।
আরও পড়ুন: কেয়া বাত! নীলুর সত্যিটা জেনে গিয়ে নীলুকে চড় মেরে বাড়ি থেকে বের করে দিল তার শাশুড়ি! এই পর্ব মিস করবেন না!
নিজেকে বাঁচাতে এবং ফুলকিতে শায়েস্তা করতে বড় প্ল্যান করল রুদ্র
এদিকে রুদ্র চলে আসে তার অফিসে। পুরোনো কথা মনে করে রুদ্র ভাবতে থাকে কিভাবে জয়িতা তার জন্ম দাগের ওপর আঁ’চড়ে দিয়েছিল। রুদ্র মনে মনে ভেবে নেয় এবার ফুলকিকে শায়েস্তা করবে সে। তখনই রুদ্রর কথা মতো একজন গরীব মানুষকে ধরে নিয়ে আসে তিওয়ারি। লোকটাকে রুদ্র বলে তার পুরো পরিবারের দায়িত্ব সে নেমে কিন্তু তার বদলে একটা খু’নের জন্য তাকে জেলে যেতে হবে। পরিবারের কথা ভেবেই রাজি হয়ে যায় সেই ব্যক্তি। তিওয়ারি লোকটির গায়ে আঁচড়ে দেয়। এরপর রুদ্র পুলিশকে ফোন করে জানায় সে জয়িতার খু’নিকে পেয়েছে। তাহলে কি আবার বেঁচে যাবে রুদ্র? নাকি এবার তাকে শায়েস্তা করবে ফুলকি?