জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“বাবা কিছু করে দেয়নি…!” সব্যসাচী প্রসঙ্গে বিস্ফোরক গৌরব চক্রবর্তী! বাবার নামে একি বললেন অভিনেতা?

সদ্য বাবা হয়েছেন তিনি। সুন্দরী স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ‘হ্যাপিলি ম্যারেড’ অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী (Gourab Chakraborty)। টলিপাড়ার পরিচিত মুখ হলেও, অভিনেতার বহুল পরিচিতি সব্যসাচী চক্রবর্তীর ছেলে হিসেবে। শীঘ্রই স্ত্রীর সঙ্গে ছোটপর্দায় কামব্যাক করতে চলেছেন গৌরব। তবে তার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি অভিনেতা। অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর ( Sabyasachi Chakraborty) ছেলে হিসেবে পরিচিত হলেও, বাবার থেকে নাকি সিকিভাগ সাহায্য জোটেনি ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে।

স্কুলে কোনওদিন প্রথম শাড়ির ছাত্র ছিলেন না। বাবা-মা বলে দিয়েছিলেন আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর কাজ। তাই নিজেদের ছবির প্রিমিয়ারেও নিয়ে যেতেন না বাবা-মা। একবার পরীক্ষা দিতে গিয়ে নাকি না দিয়েই চলে এসেছিলেন। কারণ, খাপছাড়া কিছুই করতে মন চায়নি অভিনেতা গৌরবের। ভাগ্যি বাবা-মায়ের রোষের মুখে পড়তে হয়নি তাঁকে।

অভিনয় শুরু নাটকের হাত ধরে। অরিন্দম গাঙ্গুলী ও খেয়ালী দস্তিদারের নাটকের দলের তরফ থেকে ফেলুদা মঞ্চস্থ করা হবে। মিলছে না তোপসে। এই দলের হয়ে তখন সাউন্ড ডিজাইনিং -এর কাজ করতেন সব্যসাচীপুত্র। কম বয়সী তোপসের ভূমিকায় অভিনেত্রী কাকলি দস্তিদারের প্রথম পছন্দ ছিল গৌরব চক্রবর্তী। সেই থেকে পথ চলা শুরু।

সব্যসাচী প্রসঙ্গে গৌরব চক্রবর্তী

পড়াশুনা নিয়ে কোনও দিন একটা কথাও বলেনি গৌরবের বাবা প্ৰখ্যাত অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী। এমনকি কেরিয়ার ঘটিত কোনও কারণেও সাহায্য পাননি বাবা -মায়ের কাছ থেকে। অভিনেতা অকপট,”বাবা কিছু করে দেয়নি।” তিনি আরও বলেন,”আমি তো জানতাম স্কুল পাশ করার পর মানুষ ইংরেজি অনার্স নিয়ে পড়ে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে, ডাক্তার হয়। তবে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে মাস কম ভিডিয়োগ্রাফি বলে একটা বিষয় আছে সেইটা জানা ছিল না।”

তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। গৌরব পেয়ে যান নিজের পছন্দের বিষয়। স্কুলের লাস্ট বেঞ্চ পড়ুয়া, হয়ে ওঠে প্রথম তিনে। এই মুহূর্তে, গৌরব আর তাঁর স্ত্রী ঋদ্ধিমা জি বাংলার নতুন কুকিং শো নিয়ে ফিরছেন ছোটপর্দায়। তাঁদের শো-এর নাম রন্ধনে বন্ধনে। জি বাংলার রান্নার ঘরের পর জি-এর তরফে এর এক নয়া উদ্যোগ। বলা বাহুল্য, গৌরব-ঋদ্ধিমার মিষ্টি প্রেমকে সাক্ষী রেখে রান্না নিয়ে এবার জমবে লড়াই।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।