Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora) নতুন নতুন চমকের কারণে বর্তমানে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের প্রতিটি পর্ব। ধারাবাহিকে প্রতি সপ্তাহেই নতুন নতুন চমক বেশ উপভোগ করছেন সকলে। দিনে দিনে বাড়ছে ধারাবাহিকের টিআরপিও (TRP)। বাবার মৃত্যুর রাই, নীলু এবং স্রোত বর্তমানে তিন বোনের জীবনেই এসেছে নতুন মোড়।
অনির্বাণের অফিস থেকে বিদায় নিয়েছে রাই। রাইকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি বিশেষ ফলে অনির্বাণ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় সে কলকাতা ছেড়ে চলে যাবে। রাইয়ের সঙ্গে দেখা করে বারবার রাইকে সবটা বোঝানোর চেষ্টা করলেও শর্মির কোন কথাই মানতে নারাজ রাই। এদিকে শৌর্য্যকে মিথ্যে বলে মা হওয়ার মিথ্যে নাটক শুরু করে নীলু। ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে সুচিস্মিতা এবং বৌদির মনের মধ্যে জেগেছে সন্দেহ। অপরদিকে এনগেজমেন্ট পার্টিতে চলে গেছে স্রোত। আর সেখানেই তার সঙ্গে দেখা হয় সার্থকের।
মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ২২ মে (Mithijhora Today Episode 22 May)
ইতিমধ্যেই এনগেজমেন্ট পার্টিতে স্রোতকে দেখে নিয়েছে সার্থক। স্রোতের কাছে এসে সার্থক স্যার বলেন সে এখানে কি করছে। তখন স্রোত সার্থকে জানায় সে আয়েশা তার বান্ধবী হয়। এরপরই সার্থক স্রোতকে বলে সে এই বিষয়ে আগে বলেনি কেন? তখন স্রোতকে বলে সে কলেজে গিয়ে পড়াশোনা ছাড়া অন্য কথা বলেনা। তখন সার্থক স্রোতকে বলে পড়তে বসতে। সার্থকের রুক্ষ ব্যবহার দেখে স্রোত তাকে বলে বাবার সঙ্গে ভালো করে কথা বলতে কারণে জীবনটা খুব কম সময়ের। এই বলেই স্রোত চলে যায়।
নীলুকে চড় মেরে বের করে দিল সুচিস্মিতা
এদিকে নীলুর খোঁজ করতে করতে বাড়িতে চলে আসে শৌর্য্য। তখনই শৌর্য্যর বৌদি শৌর্য্যকে জানায় সে ডাক্তারকে ফোন করে জানতে পেরেছে নীলুর মা হওয়ার পুরো বিষয়টাই মিথ্যে ছিল। তখনই বাইরে বেরিয়ে এসে নীলু বলে সে বাথরুমে পড়ে গেছে। বাচ্চাটা বোধহয় আর নেই। নীলুকে বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলতে দেখে তাকে একটা চড় মারে সুচিস্মিতা। সে নীলুকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। শৌর্য্যও ঘরে গিয়ে দরজা আটকে দেয়। নীলু ছুটে এসে শৌর্য্যকে বোঝানোর চেষ্টা করতে থেকে সে যা করেছে নিরাপত্তার অভাব বোধ থেকে করেছে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে মায়ের হাতের পায়েস খাওয়া হলনা কনীনিকার! মন খারাপ অভিনেত্রীর! কিন্তু কেন পায়েস খাওয়া থেকে বঞ্চিত হলেন তিনি?
অবশেষে অনির্বাণের সঙ্গে দেখা করতে অফিসে গেল রাই
এদিকে রাইকে ফোন করে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকে শর্মি। শর্মি তার স্বামীকে বলে রাই সৎ মেয়ে এরকম একটা মেয়েকেই দাদাভাইয়ের জীবনে দরকার। রাইয়ের সঙ্গে দাদাভাইয়ের মিল করানোর জন্য সে এইসব করছেন। রাইও ফোনটা রেখে খুব রেগে যায়। তখনই ঘরে এসে স্রোত বলে “ছেলেরাই ভালো নয়।” স্রোত রাইকে এও জানায় সে আর ক্যাম্পে যাবে না। সেটা শুনে স্রোতকে বুঝিয়ে ক্যাম্পে যাওয়ার জন্য রাজি করে রাই। এই পরেরদিন সকাল হতেই সে চলে যায় অনির্বাণের অফিসে। প্রথমে অনির্বাণ দেখা করতে বারণ করে দিলে রাই জানায় সে আজ দেখা না করে যাবে না। তাহলে কি এবার কি করবে নীলু, আপনাদের কি মনে হয়?