জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকি (Phulki)। গত কয়েকদিন ধরে এই মেগা রীতিমতো জমে উঠেছে। সগৌরবে এক বছর পার করা ‘ফুলকি’ যত দিন যাচ্ছে চমকের পর চমক আনছে।ধারাবাহিকের আগের পর্বেগুলিতে দেখা যায়, রোহিতকে নিষ্কলঙ্ক প্রমাণ করে রুদ্রর মুখোশ সবার সামনে খুলে দিয়েছিল ফুলকি। আসলে রুদ্র যে রাজাবাবু, সেটা বলে দিয়েছিল ফুলকি। যার কারণে গ্রেফতার হতে হয় রুদ্রকে।
‘ফুলকি’ আজকের পর্ব ১৫ জুন (Phulki Today Episode 11th June)
এরপর দেখা যায়, জেলে বসে শাস্তি পাচ্ছে রুদ্র। কিন্তু এত সহজে হার মানার পাত্র নয় সে। অনেক দূর পর্যন্ত ক্ষমতা রয়েছে রুদ্ররূপ সান্যালের। তাই জেলে বসে ঈশিতার সঙ্গে যোগাযোগ করে সে। ধারাবাহিকের শুরুতেই দেখা যায় অরুণার সঙ্গে বসে চুলের পরিচর্যা করছে ফুলকি। এমন সময় তার মাথায় আসে, একটা ফোন আসার সঙ্গে সঙ্গেই ঈশিতা দি বেরিয়ে গেল। তাহলে কি জামাই বাবু আর ঈশিতা দি কোন চক্রান্ত করছে? ফুলকির কথা শুনে সবাই বলে, ফুলকি যেন আর এসব নিয়ে না ভাবে, সে যেন নিজের দিকে খেয়াল রাখে।
ফুলকি ঠিক তেমনটাই করবে বলে মনস্থির করে। মাথা থেকে অকারণ চিন্তা বাদ দিয়ে দেয়। এদিকে দেখা যায়, তিওয়ারি কিছু টাকা নিয়ে চলে যায় নকল রাজাবাবুর কাছে। আর গিয়ে বলে পুলিশ তাঁকে ধরার চেষ্টা করছে। তাই সে যেন তাড়াতাড়ি আত্মগোপন করে। তিওয়ারির কথা শুনে চিন্তিত হয়ে পড়ে নকল রাজাবাবু। সে পালিয়ে যাবে বলে ঠিক করে।
এদিকে দেখা যায়, অংশুমান এসে বলে রাজাবাবু এনকাউন্টারে মারা গেছে। আর সেই কথা শুনে চমকে যায় ফুলকি। এটা কিভাবে হতে পারে সেই প্রশ্ন করে সে। এরপর ফুলকি আর রোহিত চলে আসে মর্গে। ফুলকি অংশুমানকে বলে যে তার মোটেও বিশ্বাস হচ্ছে না ইনি রাজাবাবু। বরং ফুলকির মনে হচ্ছে, এর পিছনে হাত রয়েছে ওই রুদ্ররূপ সান্যালের। সে আড়াল থেকে কোন একটা ফন্দি এঁটে জেল থেকে মুক্ত হওয়ার চাল চেলেছে। অংশুমান বলে পুলিশ যখন বিশ্বাস করছে তখন এর উপরে আর কোন কথা থাকতে পারে না। অতএব ইনি রাজাবাবু মেনে নিতে হবে।
আরো পড়ুন: “যদি কেউ মনে করে আমি যোগ্য…” হঠাৎ ভিন্ন সুর অভিনেত্রী সৌমীতৃষার মুখে! তবে কি রাজনীতির জুতোয় পা গলাচ্ছেন অভিনেত্রী?
এরপর দেখা যায় জেল থেকে মুক্ত হয়ে বাড়িতে চলে এসেছে রুদ্র। কিন্তু বাড়িতে ঢুকতে চায় না সে। রুদ্রকে দেখে লাবু একটু অবাক হয়ে যায়। এদিকে জেঠিমনি ক্রমাগত ফুলকিকে দোষ দিতে থাকে। একই সুরে ফুলকিকে বিঁধতে থাকে ঈশিতা। অরুণা বোঝে, সে যে ভয়টা পেয়েছিল সেটাই হলো। এখন সবাই ফুলকির দিকে আঙুল তুলবে। সবার কাছে দোষারোপ শুনেও সেভাবে বিচলিত হয়না ফুলকি। বরং সে মনে মনে ভাবতে থাকে, এই ঘটনার পিছনে জামাইবাবুর হাত আছে। আর তাই এত সহজে জেল থেকে ছাড়া পেল রুদ্ররূপ সান্যাল।