স্টার জলসার (Star Jalsha) অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’-এ (Anurager Chhowa)। এই মুহূর্তে ধারাবাহিকের চলছে টান টান পর্ব। দীপা আর সূর্যের মধ্যে চলছে এক অদ্ভুত লুকোচুরি। ভুল বোঝাবুঝি যেন শেষ হয় না দুজনের। দিন দিন একে অপরের প্রতি বিমুখ হচ্ছে তারা। দূরত্ব যত বাড়ছে তত জীবনে জটিল হয়ে উঠছে দুজনের।
সূর্যের থেকে ধারাবাহিকের নায়িকা দীপার জীবনযুদ্ধ যেন আরও কঠিন। সন্তান, পরিবার, ভালোবাসার থেকে দূরে গিয়ে একা রয়েছে সূর্য। কোনো পিছুটান রাখতে চায় না সে। বাড়ির কারোর সঙ্গে যোগাযোগ টুকু রাখেনি। এদিকে একা দীপা সিদ্ধ হস্তে সামলেছে নিজের ও সূর্যের পরিবার। সূর্যের অবর্তমানে সেনগুপ্ত পরিবারের সকলের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দীপা।
এখন তাই দীপা লাবণ্য-প্রবীরের পুত্রবধূ নয়, কন্যাসম। তাই দীপার জীবন যাতে সুখের হয় তাই শ্বশুর-শাশুড়ি হয়েও দীপাকে অর্জুনে হাতে তুলে দিয়েছে তারা। কারণ দীপার ভাল থাকার চাবিকাঠি অর্জুন। অর্জুন দীপাকের ভালোবাসে। সোনা-রূপার সঙ্গেও সম্পর্ক ভাল। তাই অর্জুনের মতো সুপাত্রে দান করেছেন তারা দীপা।
যদিও দীপা আর অর্জুনের বিয়ে মেকি। পরিবারের সকলের চোখের আড়ালে গিয়ে মন্দিরের গর্ভগৃহে নিজের সিঁথিতে সিঁদুর পরেছে দীপা। আর এই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী দীপার বাবা। বিরল রোগে আক্রান্ত রূপা। আর তার আবদার মা আর অর্জুন যেন বিয়ে করে।
আরও পড়ুনঃ চাকরিটা তুমি নাও শিমুলকে কাতর অনুরোধ পরাগের! প্রাক্তন স্বামীর করুণ অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ল দয়াময়ী শিমুল!
রূপা জানে বড় অপারেশনের পড়ে তার জীবনের গ্যারান্টি নেই। তার অবর্তমানে তার মা আর বোন যেন ভাল থাকে তাই বেঁকে বসেছে রূপা। ছোট্ট মেয়েটার শর্ত নাহলে সে অপারেশন করাবে না। রূপার কথা রাখতে অর্জুন আর দীপা এই মেকি বিয়ে করেছে। এদিকে, রূপার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে চলেছে। সত্বর অপারেশন না করলে অবস্থা বেগতিক হতে পারে। তাই তড়িঘড়ি নার্সিংহোমে ভর্তি হয় রূপা। যাওয়ার আগে পরিবারের সকলকে বলে রূপা ফিরে না এলেও যেন পরিবারের সকলে মিলেমিশে থাকে।