স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa)। সূর্য চলে যাওয়ার পর তছনছ হয়ে গিয়েছে সেনগুপ্ত পরিবার। প্রবীর আর লাবণ্য সেনগুপ্ত বাড়ি ছেড়ে চলে এসে দীপার কাছে। ওই বাড়িতে কাকীয়া, প্রতীক, জয় আর ঊর্মি তার তাদের সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি ভিক্টরও ঘরজামাই হয়ে থাকতে শুরু করেছে তিস্তার সঙ্গে। সেনগুপ্ত পরিবারের এই বিপদ সংকুল পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে থাকার মিথ্যে নাটক করছে ভিক্টর।
ভিক্টরের একমাত্র উদ্দেশ্য সেনগুপ্ত বাড়ির ভাগ পাওয়া। তাই জয়কে কানে কানে বাড়ি বিক্রির কথা বলেছে ভিক্টর। ত্রিশ কোটি মূল্যের বাড়ি আঠাশ লক্ষ টাকায় বিক্রি করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে সে। জয়ও রীতিমতো তার কথায় নাচছে। এদিকে, এসবের কিছুই জানে না ঊর্মি। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে ঊর্মি আর দীপকে ফিরিয়ে এনেছে জয়। এদিকে বাড়ি বিক্রির প্রসঙ্গ উঠতেই বিরোধ বাঁধে জয় আর ঊর্মির মধ্যে।
অন্যদিকে, এই সবকিছুর সঙ্গে অজ্ঞাত সূর্য প্রত্যন্ত কোনও গ্রামে রোগীদের চিকিৎসা করে দিন কাটাচ্ছে। সেই গ্রামে নতুন ট্রেনি হয়ে এসেছে ইরা। শুরুতে ইরাকে দেখানো হয় হাসিখুশি প্রাণবন্ত মেয়ে হিসেবে। যে কথা বলতে খুব ভালোবাসে। কথার ছলে মানুষকে আপন করে নেওয়ার বিদ্যায় পটীয়সী সে। তবে ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে ইরাকে রহস্যময়ী ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
ইরার সঙ্গে খানিক আলাপের পর সমাজ মাধ্যমে তাকে খোঁজার চেষ্টা করে ড. সূর্য। কিন্তু এমন নামের কোনও অস্তিত্বই নেই। ইরা ভ্লগ করে। তবে তার কোনো ভ্লগের চ্যানেল পর্যন্ত নেই। সব মিলিয়ে ইরা চরিত্রটি বেশ রহস্যময়। কী উদ্দেশ্যে সূর্যের কাছে এসেছে সে? মিশকাই ইরাকে পাঠায়নি তো? মিশকা পারে না এমন কোনো কাজ নেই। এইটাও তার কোনও চাল নয়তো?
ভণিতা না করে সরাসরি ইরাকে প্রশ্ন করে সূর্য। ইরা বলে, সূর্যের যেমন একটা অন্ধকার অতীত আছে। ইরারও একটা অতীত আছে। অতীত নিয়ে ঘাঁটার কোনো মানে হয়না। এতে শুধু কষ্ট বাড়ে। তাই সে সূর্যের কাছে অনুরোধ করে সূর্য যেন তাকে কোনও দিও অতীত সম্পর্কে জিজ্ঞেস না করে। তবে দর্শক ইরাকে যতটা সাধাসিধে ভেবেছিলেন ততটা তিনি নন তা পরিষ্কার। এরমধ্যে সূর্যের দরকার হয় কলকাতা আসার। একথা শুনে ইরাও যেতে চায় সূর্যের সঙ্গে। ইরার হঠাৎ নাছোড়বান্দা হয়ে ওঠা খানিক চোখে লাগে সকলের। তবে অনুমান করা যায় আসন্ন পর্বগুলোতে ধীরে ধীরে সব সন্দেহ মিটবে দর্শকদের।