বাংলা টেলিভিশনের টিআরপি তালিকায় এখন কম নম্বর পেলেই ছাঁটাইয়ের সুর। কিন্তু এমন বেশ কিছু ধারাবাহিক রয়েছে যেগুলি কম টিআরপি নিয়েও রমরমিয়ে চলছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জি বাংলার ধারাবাহিক সোহাগ জল। কিন্তু ওই যে মাত্রা ছাড়া পরকীয়া দেখানোর জন্য কটাক্ষ হজম করেও এখনও টেলিভিশনের পর্দায় রমরমিয়ে চলছে এই ধারাবাহিকটি।
আসলে বাঙালি দর্শক একদিকে যেমন পরকীয়া দেখে কটাক্ষ করেন তেমনি আবার এই সমস্ত ধারাবাহিকগুলিও দেখেন। আর সেই কারণেই মেয়েবেলার মতো ভিন্ন ধর্মী ধারাবাহিকগুলি টিআরপির কম হয়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। যদিও সোহাগ জল নিয়ে বিভিন্ন সময় দর্শকমহলে বিভিন্ন বিরূপ প্রতিক্রিয়া মিলেছে।
হানি বাফনা ও শ্বেতা ভট্টাচার্যের এই ধারাবাহিকটিকে ঘিরে দর্শকদের মধ্যে প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু বলা যায় প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে এই ধারাবাহিকটি। উল্টে লাগাতার কটাক্ষ এবং বিরূপ মন্তব্যে বিদ্ধ হয় এই ধারাবাহিকটি। এই ধারাবাহিকে কটাক্ষবিদ্ধ হয়েই জনপ্রিয় চরিত্র হয়ে ওঠে বেণী বৌদির চরিত্রটি। এই ধারাবাহিকে দেখানো হয় যে একজনের বিধবা, সে আবার নিজের দেওরকে ভালোবাসে আবার অন্য এক দেওরের সন্তান তার পেটে। আজকের সমাজে দাঁড়িয়ে এই ধরনের নোংরামি দেখানোর জন্য সোশ্যাল মাধ্যমে দর্শকরা এই ধারাবাহিকটি বন্ধের আবেদন করেছেন। যদিও এখনও রমরমিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় চলছে এই ধারাবাহিকটি।
এই ধারাবাহিকে পরবর্তীতে দেখানো হয়, হঠাৎই গর্ভবতী হয়ে পড়ে বেণী। বাড়ির বড় ছেলে সাম্যর সন্তান তার পেটে। সাম্য আবার বিবাহিত এক সন্তানের বাবা। এরপর প্রমাণ জোগাড় করে জুঁই-শুভ্র মিলে সাম্যকে জেলে পাঠায়। তবে জেল থেকে বেরিয়ে আসে সাম্য। এরইমধ্যে জুঁই-শুভ্র বাড়ি ফিরে দেখে যে বেণী বিয়ে করছে সাম্যকে। বাড়ির ব্যবসা থেকে শুরু করে সমস্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে সে। বর্তমানে নিজের শ্বশুরবাড়ি লোকেদের সঙ্গে চাকরের মতো আচরণ করে বেণী।
আর এবার সাম্প্রতিকতম পর্বে দেখানো হয়েছে সাম্যর প্রথম পক্ষের স্ত্রী এর ছেলে এক টুকরো মাংস নিয়ে খেয়েছে বলে তাকে চোর বলা থেকে শুরু করে যাচ্ছেতাই ভাবে অপমান করছে বেণী। যদিও সেই স্থানে যথাসময়ে উপস্থিত হয়ে টাকা দিয়ে বেণীর মুখ বন্ধ করে জুঁই। কিন্তু একজন শিশুর সঙ্গে এহেন আচরণ টেলিভিশনের পর্দায় দেখানো নিয়ে সরব হয়েছেন দর্শকরা। একজন শিশুর সঙ্গে এ কি ধরনের আচরণ? কি নোংরামি দেখানো হচ্ছে? এর কি প্রভাব পড়বে সমাজে? একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন না নেটিজেনরা।