বর্তমানে প্রতিটি ধারাবাহিক টিকে রয়েছে টিআরপির উপর। যে ধারাবাহিকের টিআরপি যত বেশি, সেই ধারাবাহিকের স্থায়ীকাল তত বেশি। আর তাই এই টিআরপি বাড়ানোর চেষ্টায় বর্তমানে সমস্ত ধারাবাহিক একপ্রকার যেন যুদ্ধে নেমেছে। আর সেই যুদ্ধে জেতার জন্য একের পর এক ট্যুইস্ট আনছে ধারাবাহিকগুলো।
যে ধারাবাহিকের টিআরপি কম, সেই ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে সেখানে আসছে নতুন ধারাবাহিক। আর এই ট্যুইস্ট আনতেই লেখকরা হাতিয়ার করছেন নানান অস্ত্র। কখনও প’রিকয়া, কখনও বিয়ের নানান রকম ট্যুইস্ট। কোথাও চলছে বিবাহিত স্বামীর সঙ্গে অন্য মেয়ের সম্পর্ক, আবার কোথাও বিবাহিত স্ত্রী-এর সঙ্গে অন্য ছেলের সম্পর্ক।
আবার কোথাও ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বৌ-এর অজান্তেই বিয়ে, কোথাও পড়াশোনা বাঁচাতে মেয়ের বয়সী ছাত্রীকে বিয়ে। আবার কিছু ধারাবাহিকে তো নিজেকে নিজেই বিয়ে করে বিয়ের অধিকার দাবি করছে ছেলের বাড়িতে। এসকল কান্ড কারখানার জন্য এখন বেশকিছু ধারাবাহিক ট্রোলের স্বীকার হচ্ছে। আর এই ট্রল একদিকে পরিচিতি বাড়াচ্ছে মেগার।
এবার বাজারে এসেছে আরেক নতুন ট্রেন্ড। আমরা জানি, হিন্দু মতে আইনত একটাই বিয়ে করা যায়। কিন্তু বর্তমানে সেই আইনকে গুলি মেরে একসাথে দুটো বিয়েও করা যায়। বিবাহিত স্বামীকে আবার বিয়ে করে দ্বিতীয় বৌয়ের অধিকারে সম্পত্তি ভোগ করা যায়। একদিকে আমরা দেখছি জি বাংলার ‘তোমার খোলা হাওয়া’ ধারাবাহিকে হঠাৎই ফিরে এসেছে ঝিলমিল ও আবিরের জীবনে ফিরে এসেছে।
এখন দুটো বউ নিয়েই সংসার চলছে সেখানে। আবার ‘সোহাগজল’এ সাম্যের আসল বউকে তাড়িয়ে বৌদি বেণী বিয়ে করেছে সাম্যকে। তারপর সেই সমস্ত সম্পত্তির অধিকার ভোগ করছে। দর্শকদের মতে, এটাই হয়তো এখন ধারাবাহিকের নতুন ট্রেন্ড। দুটো বউ নিয়ে এসে লেখক ধারাবাহিকের টিআরপি বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে আদোও কি এতে কোনও লাভ হচ্ছে? বাড়ছে টিআরপি? বরঞ্চ সমাজের উপর পড়ছে খুব বাজে প্রভাব!