ভীষণ মিষ্টি চেহারার এই অভিনেত্রী অত্যন্ত সহজে দর্শকদের মনে রাজত্ব করা শুরু করেছিলেন। প্রথমে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করলেও নায়িকা চরিত্রের সুযোগ পেতে বেশি সময় লাগেনি তাঁর। দু’দুটি ধারাবাহিকে মূল নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। বর্তমানে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মুকুটে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
অবশ্যই চিনতে পারছেন কার কথা বলছি। কথা বলছি অভিনেত্রী শ্রাবণী ভূঁইয়ার। স্টার জলসার পর্দায় মাত্র তিন মাস চলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অভিনেত্রী শ্রাবণী ভূঁইয়া অভিনেতা সুস্মিত মুখার্জির ধারাবাহিক মাধবীলতা। ভালো টিআরপি সত্ত্বেও অকালে বন্ধ হয়ে যায় এই ধারাবাহিকটি। এরপর জি বাংলার পর্দায় মুকুট ধারাবাহিকে নতুন নায়ক অর্ঘ্য মিত্রের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শ্রাবণী ভূঁইয়া।
এই ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন এই মিষ্টি চেহারার অভিনেত্রী। এই ধারাবাহিকে তাঁর প্রতিবাদী চরিত্র দর্শকদের ভীষণ মনে ধরেছে। টিআরপি তালিকায় বিরাট সাফল্য না পেলেও দর্শকদের মনে রাজত্ব করছেন এই অভিনেত্রী। উল্লেখ্য, স্টার জলসার ‘রাখি বন্ধন’ ধারাবাহিক দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন তিনি। এরপর ‘কনক কাঁকন’, ‘জীবনসাথী’, ‘মাধবীলতা’ প্রমুখ ধারাবাহিকে তাঁকে প্রতিবাদী চরিত্রে দেখা গেছে।
মেদিনীপুরের কাঁথির এই মেয়ে কলকাতার শহরে একাই নিজের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। জীবনে কখনই কোনও কিছু পরিকল্পনা করে করেননি শ্রাবণী। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাচ নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা করেন শ্রাবণী। তবে স্নাতক স্তরে প্রাণীবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। প্রথমদিকে মেদিনীপুরের মেয়ে হওয়ার কারণে একটু ‘স’য়ের সমস্যা ছিল তাঁর। যদিও স্নেহাশীষ চক্রবর্তীর সহায়তায় সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠেছেন তিনি।
মা বাবা ঠাকুমা ভাইকে নিয়ে ছোট সুখী সংসার শ্রাবণীর। কলকাতায় একাই থাকেন তিনি কখনও কখনও মা ঠাকুমা তাঁর সঙ্গে এসে থাকেন। তবে খুব বেশি বন্ধু-বান্ধব, মেলামেশা এমনটা করেন না শ্রাবণী। কারণ তিনি ভীষণই প্রাইভেট পার্সেন। এই ইন্ডাস্ট্রিতে সবার তার ভালো বন্ধু কিন্তু বিশেষ কাছের বন্ধু নেই তাঁর। আর তাই মন খারাপ হলে নিজেই নিজেকে সারিয়ে তোলেন। কাজই তাঁর জীবনের একমাত্র ধ্যান জ্ঞান।