বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিক (Saptarshi Moulik) এবং অভিনেত্রী সোহিনী সেনগুপ্ত(Sohini Sengupta)। টলিপাড়ার এই জনপ্রিয় জুটি ২০১৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। অভিনয় জগতে এই দুই তারকারই জনপ্রিয়তা অনেক। তবে তাদের মধ্যে বন্ধুত্বের মিষ্টি সম্পর্ক মন ছুঁয়ে যায় তাদের অনুরাগীদেরও। এই বছর সরস্বতী পূজাতে সাংবাদিকরা পৌঁছে গেছিলেন তাদের সাক্ষাৎকার নিতে। তারা পুজো নিয়ে ব্যক্তি করেন তাদের ভাবনা।
তাদের সাংবাদিকরা পুজোর প্ল্যান নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সপ্তর্ষি জানিয়েছেন “এখন ছোটরাই সব করে। আগের দিন সোহিনী এসেছিল। আমাদেরকে ওরা একটা বাজেট বলে দেয় এবং সেই অনুযায়ী কেনাকাটি হয়।” সোহিনী এই বিষয়ে জানান “আমাদের পুজোতে উপোসের ব্যাপার নেই। যার যেরকম মনে চায়, কারণ উপোস করলেই ভক্তি হয়না। ভক্তি ভরে মাকে ডাকাই জরুরি।”
“তবে আমাদের ঠাকুর কেনার একটা ব্যাপার আছে, আমরা আগে থেকে ঠাকুর অর্ডার দিয়ে আসি না। আমরা কুমোরটুলিতে গিয়ে দেখে যে ঠাকুরটা কেউ নিতে চায়না আমরা সেটা নিয়ে আছি এবং সেটারই পুজো হয়। কারণ আমরা তো ঠিকঠাকের সংজ্ঞাটা জানি না তাই যেমন এই ঠাকুরটার বিনা হাতে আসছিল না আমরা পরে এটাকে ঠিক করে নিয়েছি। আমরা মানুষ যেমন সবাই সম্পূর্ন নয় তেমন একজন শিল্পীর জিনিসও হয়না। প্রাণ প্রতিষ্ঠাটা নিজেকেই করতে হয়। ঠাকুর সুন্দর হলেই তাতে প্রাণ থাকে না।” জানান সোহিনী, সপ্তর্ষি।
শাড়ি নিয়ে সোহিনী বলেন যে “সপ্তর্ষির শাড়ি ভালো লাগে ও আমায় অনেক শাড়িই দিয়েছে। তবে এই শাড়িটা আমার কাছে কাছের কারণ মা এই শাড়িটা বেলার শেষেতে পড়েছিল। ছেলের এই বিষয়টা বেশি কাজ করেনা কিন্তু একটা মেয়ের কাছে তার মায়ের শাড়ি, ঠাকুমার শাড়ি, শাশুড়ির শাড়ির অনেক গুরুত্ব আছে।”
শিক্ষিকা হিসেবে সোহিনী কেমন সেই কথার উত্তরে সপ্তর্ষি জানান “আমার যখন যেখানে আটকায় আমি ওকে জিজ্ঞাসা করি। কারণ ওর মধ্যে শিল্পীসত্তা আছে। ও অনেক বেশি জানে। আমার ছেলে হিসেবে কখনও মনে হয়নি যে কেন স্ত্রীর কাছে জানতে চাইব। আমার থেকে একটা বাচ্চা বেশি জানতে আমি তার থেকেও শিখবো। তাই আমার সব সমস্যায় আমি ওর কাছে ছাত্রের মতোই জিজ্ঞাসা করি এবং সেখানে ও আমার শিক্ষিকা।আমরা সকলেই সকলের থেকে কিছু না কিছু শিখি।”
ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে সপ্তর্ষি বলেন “আমাদের সেরকম কোনও বিশেষ সিন লাগে না। আমরা খুব ভালো বন্ধু। আমাদের সবসময় ভালো লাগে একসঙ্গে সময় কাটাতে। এটা নিয়ে যে অনেকটা ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে দিলেই ভালো জুটি। বা রঙ মিলিয়ে পোশাক পড়লেই ভালো জুটি হওয়া যায়। আমরা ওসব ভাবি না তাই হয়তো সবটা আমাদের কাছে খুব সহজ।” প্রেম এবং সম্পর্কের বিষয়ে সোহিনী বলেন “আমার কাছে সেটা সপ্তর্ষি। ও আমার গন্তব্য। আমি ভাগ্যবতী এই জীবনটা পেয়ে।” সপ্তর্ষি জানান “আমার কাছে বিশ্বাস, বন্ধুত্ব।এমন একটা সম্পর্ক যেখানে কিছু দেখাতে হয়না।”
“যেমন আমাদের পোষ্যরা বাড়িতে ক্লান্ত হয়ে আসলেও ওরা আমাদের থেকে ভালোবাসা চায় বোঝা যায় সেইটাই আসল।” জানান সপ্তর্ষি। সোহিনীও সপ্তর্ষির বিষয়ে বলেন “প্রেমিক সপ্তর্ষি খুব ভালো, আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ও। ও আমায় বকে, বোঝায় সবসময় সত্যি বলে।” সোহিনী বিষয়ে সপ্তর্ষি জানায় “ও খুব ভালো রান্না করে। আমি চেষ্টা করি সাহায্য করার। সব মিলিয়ে ভালোই চলছে সব।” তিনি সবশেষে বলে “সবাই আমাদের ভালোবাসুন আপনারা ভালো থাকুন।” সোহিনী আর সপ্তর্ষির জন্য রইলো আমাদের পক্ষে থেকে তাদের আগামী দিনের জন্য অনেক শুভেচ্ছা।