টেলিভিশনের দুনিয়ায় ভক্তিমূলক ধারাবাহিকের কদর চিরটাকালই ভীষণ রকমের বেশি। আর জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত হওয়া ‘গৌরী এলো’ ধারাবাহিকটি এইরকমই একটি জনপ্রিয় ভক্তি মূলক ধারাবাহিক। কটাক্ষ, বিতর্ক সবকিছুকে সঙ্গী করেই রমরমিয়ে চলছে ‘গৌরী এলো’ (Gouri Elo) ।টিআরপি তালিকাতেও বেশ ভালো পারফরম্যান্স করছে এই ধারাবাহিকটি।
এই ধারাবাহিকের নায়ক নায়িকা ঈশান-গৌরী তো রয়েইছে। এছাড়াও স্বয়ং মা ঘোমটা কালী এই ধারাবাহিকের মূল আকর্ষণ। মা কালীর দয়ায় বিভিন্ন বিপদ, ফাঁড়া কাটিয়ে ওঠে ঈশান-গৌরী। আর টেলিভিশনের পর্দায় অলৌকিক এইসব কর্মকাণ্ড দেখে ভীষণই আনন্দ পান দর্শকরা।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিক অনুযায়ী মানুষ এবং মা কালীর শক্তি এখানে একাকার হয়ে গেছে। গৌরী এখানে মা কালীর শক্তিপ্রাপ্ত। আর গৌরীর স্বামী ঈশান মহাদেবের আশীর্বাদ ধন্য। ঘোমটা কালী যেকোনও রকমের অসাধ্য সাধন করেন। এই ধারাবাহিকটিকে ঘিরে দর্শক মহলে চর্চার অন্ত নেই। যদি অনেক দর্শকের মতেই ঠাকুর দেবতা নিয়ে এহেন ছেলে খেলা করা উচিত নয়। কিন্তু টিআরপি তালিকা বলছে এই ধারাবাহিক দেখতেও ছাড়েন না দর্শকরা।
এই ধারাবাহিকে বেশ কিছুদিন আগের পর্বে দেখানো হয়েছিল পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ঈশানের। যদিও পরবর্তীতে সন্ন্যাসী রূপে ফিরে আসে ঈশান। অন্যদিকে সেই সময় গৌরী সন্তান সম্ভবা ছিল। বর্তমানে স্মৃতি ফিরে আবারও নিজের ব্রহ্মচারী রূপ ছেড়ে ঈশান ফিরে এসেছে নিজের রূপে। অন্যদিকে ভূমিষ্ঠ হয়েছে গৌরী-ঈশানের কন্যা সন্তান তারা।
আসলে ঘোমটা কালী নিজেই জন্ম নিয়েছেন ঈশান গৌরীর কন্যা রূপে। প্রবল শক্তি নিয়ে জন্ম নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে নিজের ছোট্ট হাত-পা দিয়ে শৈল মাকে ঘায়েল করে ফেলেছে এই দুধের শিশু। আর এবার এই ধারাবাহিককে দেখা গেছে তারার দুধের বাটিতে বিষ মিশিয়ে ছিল শৈল মা। কিন্তু নিজের অলৌকিক ক্ষমতায় সেই দুধের বাটি বদলে দেয় তারা। আর সেই বিষ মিশানো দুধ খেয়ে গোটা শরীর নীল হয়ে যায় শৈল মার। ঈশান বুঝতে পারে তাঁর পিসির শরীরে বিষক্রিয়া হয়েছে। বাঁচবে কি শৈল মা? নাকি এখানেই হবে ইতি? দেখুন গৌরী এলো!