ছোট্ট তারার হাত ধরে এবার নিজের বাড়িতে ফিরে এল শৈলজা! তবে কি আবার ঘনিয়ে আসতে চলেছে কোনও বড় সংকট? উল্লেখ্য, বাস্তব জীবনের থেকে একটু দূরে গিয়ে আধ্যাত্মিক কাহিনীতে মোড়া ‘গৌরী এলো’ ধারাবাহিক। ধারাবাহিক ‘গৌরী এলো’র ঈশান-গৌরী-র জুটি দর্শকদের বেশ প্রিয়। ধারাবাহিকে গৌরীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ এর প্রতিযোগী ‘নবাগতা মোহনা মাইতি’। পাশাপাশি, ঈশান-এর ভূমিকায় রয়েছেন বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
গল্পের শুরুর সময় দেখানো হয়, গ্রামের মেয়ে গৌরী আর শহরের ডাক্তারবাবু হল ঈশান। গ্রামের চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়েই গৌরীর সঙ্গে ঈশানের আলাপ হয়। তারপর তাদের বিয়ে হয় ও গৌরী শহরে আসে। ঈশান-গৌরী একে অপরের সর্বদা ঢাল হয়ে থাকে। দুজনে শিব ও শক্তির উৎস। ঈশান মহাদেবের অংশ ও গৌরী কালির অংশ। গল্পকে দর্শকের সামনে রূপ দিতে কখনো হাই ভোল্টেজের ড্রামা তৈরী করা হয়, যা বহু ধারাবাহিকের দেখা যায়না।
অনেকেই আবার এটাকে অতিরিক্ত নাটকীয়, লজিকবিহীন, ধর্মের নামে গোঁড়ামি বলে মনে করেন। এরমধ্যেই ধারাবাহিকে এসেছে বড় লিপি। গৌরী ও ঈশানের মেয়ে ‘তারা’ এখন বড় হয়ে গিয়েছে। তারার মধ্যেও রয়েছে গৌরির মতোই দৈবশক্তি। ধারাবাহিকের গৌরী আর ঈশানের বিরুদ্ধে প্রথম দিন থেকেই চক্রান্ত করে এসেছেন শৈলজা। এমনকি তাদের আসন্ন সন্তানকেও মেরে ফেলতে চেয়েছিল গৌরির পেটের মধ্যেই।
শেষে শৈলজা-এর জেল হয়। তারপরই গল্প লিপ নেয় বেশকিছু বছর। বড় হয়ে যায় গৌরী ও ঈশানের মেয়ে ‘তারা’। এর কিছুদিন পরই ঘোষাল বাড়িতে খবর আসে শৈলজা মারা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ভালো ভাবে থাকার জন্য জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় শৈলজাকে। আর তারপরই রাস্তায় দুর্ঘটনায় মারা যায় শৈলজা। আর তাই শুনে ভেঙে পড়েছে গোটা ঘোষাল পরিবার। কিন্তু অবাক কান্ড, সেই শৈল জাকেই বন্ধু ভেবে ‘তারা’ রোজ দেখা করতে যায়, খেতে দেয়। দেখা যায়, শৈল সব ভুলে গিয়েছে, অনেকটা রাস্তার পাগলের মতো আচরণ করছে। আর তারপর তারা তাকে নিজে সঙ্গে করে ঘোষাল বাড়িতে নিয়ে আসে।
শৈলজাকে দেখে গৌরী ভয় পেয়ে গেল, সে ভাবে আবার তারার ক্ষতি করতে এসেছে শৈল মা। ইন্দ্রকে বলে পুলিশকে ফোন করতে। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে যাবে, এমনসময় ঘরের সকলে দেখে ফেলে শৈল মাকে। এদিকে তাঁরা বন্ধুকে ছেড়ে যেতে চায় না। কিন্তু গৌরী তাকে টানতে টানতে নিয়ে যায়। অন্যদিকে শৈল মাও তারাকে ছাড়তে চায় না। তবে কি শৈল ভালো হয়ে গিয়েছে? নাকি তারাকে মারার নতুন কোনও প্ল্যান করছে সে? ঘরে সবাই এখন সেই সন্দেহেই। তবে নিজের মেয়ের জন্য গৌরী এবার বেশ চিন্তিত। শৈলর ঠাঁই কোথায় হবে, এবার সেটাই দেখার।