এই মুহূর্তে অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় যে ধারাবাহিক ক্রমাগতভাবে দর্শকদের মনোরঞ্জন করে চলেছে সেই ধারাবাহিকটির নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha)। প্রাথমিক পর্যায়ের সমস্ত খরা কাটিয়ে এই মুহূর্ত তীব্র গতিতে ছুটে চলেছে এই ধারাবাহিকটি।
এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে এতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যে টিআরপি তালিকার সাফল্যতেই তার প্রমাণ। এই সপ্তাহের টিআরপি তালিকা অনুযায়ী এই বাংলা ধারাবাহিকটি টিআরপিতে দারুণ রকম স্থানে রয়েছে। চলতি সপ্তাহেও চতুর্থ স্থান দখল করেছে এই ধারাবাহিকটি। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
এই ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছিল নায়িকা শিমুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার কলেজের বন্ধু শতদ্রুর। কিন্তু দুজনেই সমবয়সী হওয়ায় শিমুলকে বিয়ে করার মতো কোনরকম উপার্জন করত না শতদ্রু। সে সময় চেয়ে নিয়েছিল শিমুলের কাছ থেকে। কিন্তু সেই সময়টা তাকে দিতে পারিনি শিমুল। কারণ পরিবারের কাছে বোঝা স্বরূপ ছিল সে। আর তাই মা, দাদাদের কথা শুনে পরিবারের ঠিক করা ছেলে পরাগ বিয়ে করে এসে শিমুল।
কিন্তু বিয়ের পর থেকে একটা দিনের জন্য সুখে ঘর করতে পারেনি সে। কারণ তার স্বামী অত্যন্ত সন্দেহপ্রবণ, অত্যাচারী। তার কাছে স্ত্রী মানে সব সময় পুরুষের পায়ের তলায় অবদমিত হয়ে থাকবে। নারীর কোনরকম নিজের ভালোলাগা থাকতে পারবেনা, সব সময় পুরুষের নিয়ন্ত্রণেই নিয়ন্ত্রিত হতে হবে তাকে। আর নিজের স্বামী এবং দেওরের এই সমস্ত বিশ্বাসেই কুঠারাঘাত করে শিমুল। এমনকি শিমুলের প্রাক্তন প্রেমিক শতদ্রু তার বোনের বিয়েতে শিমুলকে নিমন্ত্রণ করতে এলে সেই নিয়েই চলে বিস্তর সমস্যা।
যদিও শতদ্রু তাকে বলেছে যদি শিমুল এই বিয়েতে সুখী না হয় তাহলে সে যেন তার কাছে ফিরে আসে। তার দরজার শিমুলের জন্য সবসময় খোলা। এমনকি শিমুলের পাড়ার বন্ধুরা শিমুলকে বুঝিয়েছে জীবন একটাই এবং সেই জীবনকে ভালোভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে তার। আর তাই সে যেন পরাগের কাছ থেকে মুক্তি নিয়ে শতদ্রুর কাছে ফিরে যায়। ইতিমধ্যেই শিমুলকে নিজেদের জীবন থেকে সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করে ফেলেছে পরাগ এবং পলাশ।
অন্যদিকে শিমুল এবং শতদ্রুকে কাছাকাছি নিয়ে আসার কোনও চেষ্টাতেই খামতি রাখছে না শিমুলের পাড়ার বন্ধুরা। শিমুলের পাড়ার পুজোর অনুষ্ঠানে ভাষ্য পাঠের জন্য শতদ্রুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তারা। মঞ্চে উঠে নাচের সময় শতদ্রুকে দেখে হতভম্ব হয়ে যায় শিমুল। কারণ এই অনুষ্ঠান দেখার জন্য আসনে বসে রয়েছে তার স্বামী পরাগ এবং দেওর পলাশ। যে শতদ্রুকে নিয়ে আগেরবার এত ঝামেলা হয়েছিল সেই শতদ্রু এবার পাড়ার অনুষ্ঠানে আসায় ঝামেলা যে আরও বাড়বে তা তো চোখ বুঁজে বলে দেওয়াই যায়। এবার দেখার কী হয় কার কাছে কই মনের কথায়।