জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুল। লীনা গাঙ্গুলীর পুত্র অর্ক গাঙ্গুলীর প্রোডাকশন হাউস, অর্গানিক স্টুডিও-র প্রযোজনায় তৈরি ‘ইচ্ছে পুতুল’। প্রথম থেকেই টিআরপি তালিকায় পোক্ত জায়গা করে নিতে পারেনি এই ধারাবাহিক। তবে শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রথম দশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে এই ধারাবাহিক।
সিরিয়ালের গল্প মূলত ত্রিকোণ প্রেমকে কেন্দ্র করে। অর্থাৎ নীলকে নিয়ে দুই বোনের টানাটানির গল্প নিয়ে তৈরি এই ধারাবাহিক। শুরু থেকেই সিরিয়ালপ্রেমীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে বহুবার। বেঙ্গল টপার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’কে কড়া চ্যালেঞ্জ ছু়ড়ে দিয়ে পর পর টিআরপি তালিকায় নাম তুলেছে এই সিরিয়াল। তবুও গত মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আচমকাই কোপ পড়েছে ইচ্ছেপুতুলের টেলিকাস্টে।
সাম্প্রতিক পর্বে দেখা যাচ্ছে, থানায় গিয়ে নীলের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ভিডিও পুলিশ নিয়ে নীলের বাড়িতে যায় ময়ূরী। বলা বাহুল্য নীলকে বিয়ে করতে বাধ্য করতেই এই পরিকল্পনা। বাড়ির সকলকে পুলিশ জানায় প্রফেসর নিরঞ্জন ময়ূরীকে ছাড়া আর অন্য কাউকে বিয়ে করবেন না। কারণ ময়ূরীর সঙ্গে রাত কাটিয়ে তাঁর সর্বনাশ করেছে সে। তাই তাঁকে ছাড়া মেঘ কেন, অন্য কোনো মেয়েকে নিয়েই ঘর করতে পারবেন না নীল। পুলিশর কথা শুনে চমকে ওঠে সবাই।
এর মধ্যে ময়ূরী কাঁদতে কাঁদতে বলে সে তার মুখ আর দেখাতে চায় না। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সর্বনাশ করে, আবার তাঁর গায়েই হাত তুলেছে নীলের পরিবার। নীল বলে ময়ূরীর কোনো কথাই সত্যি নয়। পুলিশ বলে ভিডিও অন্য কথা বলছে। নীল বলে আজকাল এরকম ভিডিওতো অনেক বানানো যায়। মীনাক্ষীও জানায় ময়ূরীর কোনো প্রমাণই তারা মানবেন না। এমতাবস্থায় পুলিশ বলে তাহলে তো প্রফেসর নিরঞ্জনকে আমাদের সঙ্গে থানায় যেতে হবে।
তাহলে এবার কি করবে নীল? সে কি ময়ূরীকে মেনে নেবে? নাকি পুলিশের সঙ্গে থানায় যাবে? জানতে হলে দেখতে হবে আগামী পর্বগুলি।