জমে উঠেছে জি বাংলার ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা। এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশন প্রেমীদের কাছে এই ধারাবাহিকটির আলাদাই গুরুত্ব। বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। এমনকী দু’বার বেঙ্গল টপার পর্যন্ত হয়েছে।
এই মুহূর্তে এই বাংলা ধারাবাহিকটির দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বিপুল। প্রত্যেকদিন এই ধারাবাহিকের রয়েছে দারুণ দারুণ সব চমক। আর যা দেখে চমকে উঠেছেন দর্শকরা। টিআরপিতেও রীতিমতো দাপট এই ধারাবাহিকটির। বাঙালি দর্শকরা এখন এই ধারাবাহিকটিকে মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখে চলেছেন। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই প্রথম পাঁচে রয়েছে এই ধারাবাহিকটি। চলতি সপ্তাহেও এই ধারাবাহিকটি তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
কার কাছে কই মনের কথা নিঃসন্দেহে টেলিভিশনের দুনিয়ায় নিঃসন্দেহে সফল একটি ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকটি বাংলা টেলিভিশনের দুনিয়ায় অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে অচিরেই। বিশেষ করে এই ধারাবাহিকের গল্প, অভিনেতা অভিনেত্রীদের সপ্রতিভ অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকরা।
বলাই বাহুল্য, বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়কে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বৈবাহিক ধ’র্ষ’ণ, বধূ নি’র্যা’ত’ন যার মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এর মধ্যে দিয়ে আরও একটি বিষয়কে দেখানো হয়েছে যেখানে সমবয়সী দু’জন প্রেম করলে মেয়ের বয়স বাড়ার কারণে ছেলে আর্থিকভাবে পরিণত হওয়ার আগেই বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই ঘটে যায় বিচ্ছেদ। আর সেটাই দেখানো হয়েছে কার কাছে মনের কথা ধারাবাহিকে।
শিমুল শতদ্রু একে অপরকে ভালোবাসতো। বিয়ে করতে গেলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে। আর তাই শিমুলকে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে বলেছিল শতদ্রু। কিন্তু তা করা সম্ভব হয়নি শিমুলের পক্ষে। তার বাড়ির লোকেরা তড়িঘড়ি তার বিয়ে দিয়ে দেয় পরাগের সঙ্গে। শিমুল ভালো নেই তা জানে শতদ্রু। আর তাই সে শিমুলকে বারবার বলেছে পরাগের সংসার ছেড়ে বেরিয়ে এসে তার হাত ধরতে।
একটা কোথাও গিয়ে একটা আড়ষ্টতা, জড়তা কাজ করে তার মনের মধ্যে। প্রতিবন্ধী ননদ পুতুল আর অসহায় শাশুড়িকে ছেড়ে আসতে পারে না সে। কিন্তু বারবার তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় শতদ্রুর। এই যেমন পলাশের বিয়ের কেনাকাটা করতে গিয়ে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করেই শিমুলের হাত ছেড়ে খানিকটা এগিয়ে যায় পুতুল। আর যেতে গিয়ে সে ধাক্কা খেতে খেতে বেঁচে যায় শতদ্রুর গাড়ির সঙ্গে। গাড়ির ড্রাইভারকে কথা শোনাতে গেলে শিমুল দেখে গাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে শতদ্রু। তখন শিমুল তাকে জিজ্ঞাসা করে কেন সে এখানে এসেছে? জবাবে শতদ্রু শিমুলকে বলে এটা তার একার জায়গা নয়। তাই সে আসতেই পারে। আর এখানে তাদের রিজওনাল অফিস রয়েছে তাই তাকে কাজের জন্য আসতে হয়েছে। এরপর শিমুলকে সে বলে, আমি ছিনে জোঁক, একবার যাকে ধরি তাকে সহজে ছাড়ি না!