জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

কার কাছে কই মনের কথায় ধুন্ধুমার! পরাগকে বি’ষ দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল প্রতীক্ষা! এবার জেলযাত্রা পলাশ-প্রতীক্ষার!

জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিকে চলছে বিবাহ পর্ব। শিমুলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন করে বিয়ের পিঁড়িতে বসছে পরাগ। ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে এবার বিয়ে হবে তাঁর। শিমুলের চোখের সামনেই আবার গাঁটছড়া বাঁধছে পরাগ। সব সহ্য করে দূরে দাঁড়িয়ে থাকছে শিমুল। পরাগ এর মধ্যেও শিমুলকে অপমান করছে থামছে না। দেওর পলাশ ও ছোট জা প্রতীক্ষার থেকেও খোঁটা জুটছে শিমুলের। এরইমধ্যে বিয়ে বাড়িতে হুলুস্থুলু কান্ড। কারণ পরাগকে বিষ দিয়েছে কেউ!

পরাগের বিয়ের অনুষ্ঠানে সবাই যখন আনন্দে ব্যস্ত সেই পরিস্থিতিতেই জানা যায়, পরাগ ঘরে অদ্ভুত ভাবে ঘুমিয়ে রয়েছে। বাড়ি সুদ্ধু মানুষজন পরাগের ঘরে গেলে দেখতে পায়, পরাগকে কেউ বা কারা বিষ দিয়েছে। পরাগের বাড়ির সবার চক্ষুশূল এখন শিমুল। তাছাড়া শিমুল পরাগের প্রাক্তন স্ত্রী। ফলে দোষের আঙুল সরাসরি উঠলো শিমুলের দিকেই।

আরো পড়ুন: ‘কৌশিক কখন‌ও কাজের জন্য ডাকেনি!’, সিনেমায় তেমন সুযোগ পাইনা! বিস্ফোরক অভিনেতা চন্দন সেন

পলাশ ও প্রিয়াঙ্কা বলে ষড়যন্ত্র করে পরাগকে বিষ দিয়েছে শিমুল। আর সেই জন্য তাঁকে পুলিশে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিপাশা, সুচরিতারা। বিপাশা বলে, শিমুল কখনও কাউকে বিষ দিতে পারেনা। ও কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার। এরপর ফের বিপাশা বলে, প্রতীক্ষা হয়ত তুমিই পরাগকে বিষ দিয়েছো আর শিমুলের নামে দোষারোপ তুলছো! বিপাশার কথা শুনে খানিক ঘাবড়ে যায় বিপাশা।

অন্যদিকে, মধুবালা দেবীও বলেন যে তাঁর বৌমা আর যাই করুক কাউকে বিষ দিতে পারে না। অন্য দিকে তিনি চিন্তিত হন ছেলে পরাগের জন্যও। বলাইবাহুল্য, পলাশ ও প্রতীক্ষার ষড়যন্ত্রের শিকার শিমুল। পরাগকে বিষয়ে দিয়ে সমস্ত প্রমাণ সরিয়ে রাখে প্রতীক্ষা। তারপর সে পুলিশকে জানিয়ে শিমুলকে হাজতবাসের পরিকল্পনা ফাঁদে। বি’ষ দেওয়ার অপরাধে শিমুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

যদিও শিমুল যাওয়ার আগে বলে যায়, সে যেমন করেই হোক প্রমাণ করবে যে সে নির্দোষ। কিন্তু যদি সে না পারে তবে এই বাড়িতে সে আর ফিরবে না। ইতিমধ্যে সবাই বুঝতে পারলেও প্রতীক্ষার বিরুদ্ধে কোন‌ও প্রমাণ না থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা যায় না। অন্যদিকে শিমুলের বিরুদ্ধে প্রমাণ একজোট করে তাঁকে হাজতবাস করায় প্রতীক্ষা। বোঝাই যাচ্ছে এরপর গল্পের মোড় ঘুরতে চলেছে। দোষী প্রতীক্ষা কিভাবে শাস্তি পায় এখন সেটাই দেখার।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।