Bangla Serial
Kar Kachhe Koi Moner Kotha: শাশুড়িকে বন্ধুদের সাথে কাশি পাঠাতে গিয়ে শিমুল নতুন বিপদে! সোনার দোকানে খেল কেস

সম্প্রতি শিমুল (Shimul) তার বন্ধুদের সাথে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিল। আর সেখান থেকে ফিরে আসার পরই শিমুলের শাশুড়ি ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। যদিও সেই টাকা দিতে শাশুড়ির প্রিয় ছেলেরা রাজি হয় না। বড় ছেলে এতো টাকা কাছে নেই বলে জানায় আর ছোট ছেলের সামনে বিয়ে তাই ফালতু টাকা সে খরচ করবে না বলে জানায়। এমন সময় শাশুড়ির পাশে দাঁড়ায় শিমুল। জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)।
ধারাবাহিকের মেন্ লিডে অভিনয় করছেন শিমুল ওরফে মানালি দে (Manali Dey)। ২০০৯ সালের স্টার জলসার ‘বউ কথা কও’ ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে একসময় জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রী। বাস্তবে কিছু মেয়ের অবস্থাকে তুলে ধরছে এই ধারাবাহিক। সাধারণ ঘরের এক প্রতিবাদী মেয়ে শিমুল, শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে একের পর এক লড়াইয়ের মুখে পড়ছে। শ্বশুরবাড়িতে গান গাওয়া, নাচ, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মেশা, বাইরে বেরোনো- সবকিছুই ছিল তার বারণ।
শিমুল শ্বশুরবাড়ির সব প্রতিকূলতা দূরে সরিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। আর এই শিমুলের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রতিবেশী বন্ধুরা। চার দেওয়ালের বন্ধন ছিঁড়ে শিমুল ঠিক করে বন্ধুদের সঙ্গে কিছুদিনের জন্য ঘুরতে যাবে। আর তাই স্বামীর বিরুদ্ধে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যায় শিমুল। তবে একা নয়, শিমুল তার ননদ পুতুলকেও সাথে নিয়ে যায়। পুতুলকে সাথে নিয়ে যেতে দেখে বাড়ির সকলে আপত্তি জানালেও শাশুড়ি শিমুলকে ঘুরতে যেতে সম্মতি দেয়।
ছেলেরা মায়ের কাশি ঘুরতে যাওয়াকে সম্মতি না দিলেও শাশুড়ির ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছাকে পূরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে শিমুল। সে জানে, একসময় শাশুড়ির অবস্থাও শিমুলের মতোই ছিল। শিমুলের শ্বশুর শাশুড়িকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেত না। এতদিন ঘরে বন্দি হয়ে দুই ছেলেকে কষ্ট করে মানুষ করেছে নিজের হাতে। কিন্তু আজ যখন মা তার ছেলেদের থেকে কিছু আবদার করল, তখন তা পূরণ করার জন্য কেউ এগিয়ে এল না। শাশুড়ি শিমুলের সাথে যতই খারাপ ব্যবহার করুক না কেন, শিমুল খুব ভালো মনের মানুষ।
শিমুল সিদ্ধান্ত নেয়, শাশুড়ির তার বন্ধুদের সাথে কাশি যাবেই। আর তাই সে পরাগের থেকে টাকা চাইলেও যখন সে দেয় না, তখন শিমুল অন্য রাস্তা বেছে নেয়। নিজের মায়ের দেওয়া সোনার বালা সোনার দোকানে রেখে শাশুড়ির কাশি যাওয়ার ব্যবস্থা করে। তবে দোকানের লোক জানিয়ে দেয়, মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে টাকা সুদ সমেত ফেরত দিতে হবে। তবে কি শিমুল সেই টাকা ফেরত দিতে গিয়েই কোনও নতুন বিপদে পড়বে? আসছে ধারাবাহিকের ধামাকাদার পর্ব।
View this post on Instagram
