Connect with us

    Bangla Serial

    Kar Kachhe Koi Moner Kotha: শিমুলকে দেখে কাশি যাওয়ার আবদার করল শাশুড়িও! ছেলে টাকা না দিলেও ২০ হাজার টাকা দিয়ে খুশি করল শিমুল

    Published

    on

    kar kache koi moner kotha

    শিমুলকে (Shimul) বন্ধুদের সঙ্গে সুমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়া দেখে এবার শাশুড়িও জেদ ধরল ঘুরতে যাওয়ার। যা দেখে অবাক শিমুল। তবে কি এবার বউমাকে টক্কর দিতেই শাশুড়ির এমন প্রয়াস? সম্প্রতি শুরু হওয়া জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha) বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উক্ত মেগায় মেন্ লিড অভিনয় করছেন মানালি দে (Manali Dey)। ২০০৯ সালের স্টার জলসার ‘বউ কথা কও’ ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে একসময় জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন মানালি।

    ফের আরও একবার মানালি নিজেকে নতুন রূপে ‘কার কাছে কই মনের কথা’ ধারাবাহিকে তুলে ধরলেন। ধারাবাহিকের পাশাপাশি তিনি সিনেমাতেও নায়িকার রোলে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ দর্শক। উক্ত ধারাবাহিকে নেগেটিভ চরিত্রের উপস্থিতি একটু বেশি হওয়ায় কিছু দর্শক প্রথমদিকে খেপে যান। কিন্তু বাস্তবের রূপটি ফুটিয়ে তুলতে এটির প্রয়োজন অতি আবশ্যিক। সাধারণ ঘরের এক প্রতিবাদী মেয়ে শিমুল শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে যে লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে, তা কোনওদিন ভাবেনি সে।

    বাপেরবাড়িতে দাদারা বোঝ মনে করত বলে মা চেয়েছিল শিমুলের বিয়ে তাড়াতাড়ি দিয়ে দিতে। কিন্তু বিয়ে করে এসেও রক্ষে হল না। ফের এক নতুন লড়াইতে নামতে হল শিমুলকে। শ্বশুরবাড়িতে তার গান গাওয়া, নাচ, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে মেশা, বাইরে বেরোনো- এগুলো সবই মানা রয়েছে শিমুলের। প্রথম কিছুদিন শিমুল সব মুখ বুজে সহ্য করলেও পরে নিজেকে কঠোর করে। সে বোঝে শ্বশুরবাড়ি বা বাপেরবাড়ির কোনও লোক তাঁর সাথে নেই, নিজেকেই নিজের জন্য লড়তে হবে। আর শিমুলের পাশে এসে দাঁড়ায় তার প্রতিবেশী বন্ধুরা।

    tollytales whatsapp channel

    চার দেওয়ালের বন্ধন ছিঁড়ে শিমুল ঠিক করে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাবে। আর তাই স্বামীর বিরুদ্ধে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানও সে করে নেয়। তবে একা নয়, শিমুল তার ননদ পুতুল, যে মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন, তাকেও নিয়ে যাবে বলে ঠিক করে। পুতুলকে নিয়ে যেতে দেখে বাড়ির সকলে আপত্তি জানালেও শাশুড়ি সায় দেয়। তবে ঘুরতে গিয়ে নানান বিপদের মুখে পড়তে হয় শিমুলকে। সব বিপদ সামলে শিমুল ঘরে ফিরতে না ফিরতেই শ্বশুরবাড়ির সকলের কাছে ফের কটু কথা শুনতে হয় শিমুলকে।

    শিমুলের এই ঘুরতে যাওয়া সফল হওয়ার পর শাশুড়িও ঠিক করে সে কাশি যাবে। একসময় শাশুড়ির ভাগ্যতাও অনেকটা শিমুলের মতোই ছিল। তাকে নিয়ে কোনওদিনও কোথাও তার স্বামী যায়নি। তাই এবার শাশুড়ি ঠিক করে বন্ধুদের সঙ্গে কাশি যাবে। পরাগকে যাওয়ার খরচ বাবদ কুড়ি হাজার টাকা চাইলে পরাগ ইতস্তত বোধ করে। এতো টাকা একসঙ্গে দিতে পারবে না, এমনটাই বোঝায় পরাগ। শাশুড়ি তখন পরাগের উপর রাগ করে বলে, শিমুলের সময় খরচ দিতে পারে কিন্তু মায়ের সময় নয়। তবে কি এবার শাশুড়ির ইচ্ছা পূরণ করবে শিমুল? শিমুলের জমানো টাকাতেই কি শাশুড়ি কাশি যাবে?