এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় যে ধারাবাহিকটি (Serial ) থেকে দর্শকরা চোখ ফেরাতে পারছেন না সেটি হল কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner Katha) । দুর্নিবার গতিতে এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে ছুটে চলেছে। তরতরিয়ে এগোচ্ছে ধারাবাহিকের গল্প। একঘেয়েমি মোটেই নেই। আর যে কারণেই এই ধারাবাহিক দর্শকদের কাছে অল্প সময়ে এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
আর ধারাবাহিকটি যে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার প্রমাণ গত সপ্তাহের টিআরপি তালিকা। নারী নির্যাতনের মতো স্পর্শকাতর বিষয়বস্তুকে তুলে ধরে এই ধারাবাহিকটি টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিয়েছে। ধারাবাহিক শুরুর পর থেকে এটাই বোধহয় এই ধারাবাহিকের প্রথম ভালো টিআরপি নম্বর।
আসলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিমুলের প্রতিবাদী মানসিকতা দর্শকদের টানছে। অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য করা নয় বরং অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। আর শিমুলের প্রতিবাদের এই ধরনই দর্শক টানছে। না নিজের স্বামী পরাগের কাছে শুধুমাত্র ভোগ্য পণ্য হয়ে অত্যাচারিত হয়ে জীবন কাটানো নয় বরং তার বিরুদ্ধে একই বাড়িতে থেকে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে শিমুল।
সরাসরি পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেছে সে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। যদি পুলিশ কোন রকম ভাবে পরাগের শাস্তির ব্যবস্থা করে। কিন্তু না ফলপ্রসু হয়নি পুলিশ ডেকে আনা। উপরন্তু পুলিশ শিমুলের চরিত্রের দিকে আঙুল তুলে বলেছে যে সে কেন রাত বারোটার সময় তার প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ফিরেছে। পুলিশ দুজনকে মিটমাট করে দিতে বলে বিদায় নিয়েছে।
কিন্তু পরাগকে শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর শিমুল। আর শিমুলের এই লড়াইয়ে তার পাশে রয়েছে তার পাড়ার বন্ধুরা। বিপাশা শিমুলকে বলেছে শিমুল যাতে ন্যায় বিচার পায় তাই তাকে ডিএম এর কাছে নিয়ে যাবে। এর ফলে পরাগ নিজের চাকরিও হারাতে পারে বলে শাসিয়েছে বিপাশা। আর এবার সেই ডিএম-এর দরবারেই যাচ্ছে শিমুল। আসছে দমদার পর্ব।