জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Kar Kache koi Moner Kotha: ‘বর যদি লুস বল ছাড়ে, সেই বল ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তো আসলে স্ত্রীর‌ই’! পরাগের মুখের ওপর জবাব দিল শিমুল! শান্তশিষ্ট নায়িকা প্রতিবাদী হতেই উচ্ছ্বাস দর্শকদের

সম্প্রতি জি বাংলার পর্দায় বেশ কিছু নতুন নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে। এই যেমন ফুলকি, কার কাছে কই মনের কথা। জি বাংলার পর্দায় ধারাবাহিক সোহাগ জল বন্ধ হয়ে শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক কার কাছে ওই মনের কথা। আসলে এই ধারাবাহিকটি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে বাঙালি দর্শকদের মন জিতে নিতে সক্ষম হয়েছে।

আসলে এই ধারাবাহিকটিতে যে সমস্ত অভিনেত্রীরা রয়েছেন তাঁদের ভক্তসংখ্যা কিন্তু বিরাট। তেমনি দর্শকপ্রিয়তা তাঁদের। আসলে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় ফিরেছেন বাংলা টেলিভিশনের বেশ কিছু দুঁদে অভিনেত্রী। এই যেমন মানালি দে, স্নেহা চট্টোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও নতুন মুখ হিসেবে অভিনেত্রী সৃজনী মিত্র ও কুয়াশা বিশ্বাসে দেখা গেছে এই ধারাবাহিকে।

বলা যায়, পাঁচ প্রতিবেশী বন্ধুর বন্ধুত্বের গল্প বলবে এই ধারাবাহিক। এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে নায়িকা শিমুল ও নায়ক পরাগের বিয়ের মুহূর্ত। বর্তমানে বহু বাংলা ধারাবাহিকের মতো এই বাংলা ধারাবাহিকের গল্প‌ও অত্যন্ত ভাবে বাস্তবসম্মত।
বলা যায়, বাস্তব থেকেই সিরিয়ালের জন্য গল্প সংগ্রহ করা হয়।

কলকাতার মেয়ের শিমুলের বিয়ে হচ্ছে শ্রীরামপুরের একটি পরিবারের।আপাদমস্তক হাড়কিপ্টে এবং কুটিল এই পরিবার। সহজ, সরল, সাধাসিধে, শান্তশিষ্ট শিমুলের কপালেই জুটেছে একটা দজ্জাল শাশুড়ি। আর সেই সঙ্গে একটি মা নেওটা ছেলে। অর্থাৎ শিমুলের বর পরাগ।

এই ছেলের বিরুদ্ধে যাওয়ার ক্ষমতা তার একেবারেই নেই। আর রয়েছে শিমুলের এক পাগলি ননদ। মূলত তাকে দেখাশোনা করার জন্যই শিমুলের শাশুড়ি তার বড় ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। যদিও তার পাগলি ননদ কিন্তু বেশ ভালোবাসছে তার বড় ভাইয়ের ব‌উকে।

আর এখন বেশ জমে উঠেছে এই ধারাবাহিকের গল্প কারণ ধরা পড়েছে শিমুলের প্রতিবাদী সত্ত্বা। আগেই আমরা দেখেছি, শিমুল এবং পরাগের যখন বিয়ে হচ্ছে তখন শিমুলের কাছে এসে তার ননদ পুতুল জানায় পরাগের ভাইয়ের বন্ধুরা খাবারের জায়গায় দাঁড়িয়ে ইচ্ছা করে খাবার নষ্ট করছে এবং তা নিয়ে হাসাহাসি করছে। সে শিমুলকে জানায় যে পরিমাণ খাবার নষ্ট করেছে তারা তা একমাসের পরিমাণ খাবার। আর এই কথা শুনে নিজের বিয়ে স্থগিত রেখে শিমুল স্পষ্ট জানায় খাবার নষ্ট মহাপাপ, আর খাবার অপচয় বন্ধ না হলে সে বিয়ে করবে না।

অবশ্যই হতচকিত হয়ে যায় পরাগ। এরপর বাসর ঘরেও শিমুল এবং পরাগের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা যায়। শিমুলের প্রতিবেশী বন্ধুরা পরাগকে বলে তোমরা হানিমুনে যাও ঠিক আছে কিন্তু তোমার বউকে একবার আমাদের সঙ্গে ঘুরতে যেতে দিতে হবে। এর জবাবে পরাগ বলে এই বিষয়ে সে কিছু বলতে পারবে না তার মা শেষ কথা বলবে। বরের মুখে এই কথা শুনে শিমুল বলে, সব ব্যাপারে মায়ের অনুমতি নেওয়া উচিত। তা বলে তুমি কিছুই জানো না, এটা আমার অবাক লাগছে। শিমুলের কথা শুনে পরাগের বন্ধুরা বলে, পরাগ তোর বউ কিন্তু ভীষণ স্মার্ট। একটা বল‌ও কিন্তু ফাঁকা পড়ে থাকছে না। এর প্রত্যুত্তরে শিমুল বলে, বর যদি লুস বল ছাড়ে, সেই বল ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব তো আসলে স্ত্রীরই। শান্তশিষ্ট শিমুলের প্রতিবাদী সত্ত্বা দেখে ভীষণ খুশি দর্শকরা।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।