Bangla Serial

মহা পাল্টিবাজ শাশুড়ি! কোর্টে পলাশের সাজানো সাক্ষী ধরা পড়তেই পার্টি খেল মধুবালা দেবী! শাশুড়িকে কী ফের ক্ষমা করবে শিমুল?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kache Koi Moner kotha)। নতুন ধারাবাহিক কাজটি স্লট বদল হয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় মেগার। তবে, জনপ্রিয়তা এখন‌ও অক্ষুন্ন ধারাবাহিকের। সম্প্রতি নতুন মোড় এনে চমকে দিচ্ছে কার কাছে কই মনের কথা। আদালতে পলাশ-প্রতীক্ষার ষড়যন্ত্রে আবার নাকাল শিমুল।

কার কাছে কই মনের কথা পর্ব ১৭ মে (Kar Kache Koi Moner Kotha Episode 17 May)

জি বাংলার এই ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে, আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রের কবলে শিমুল। মিথ্যে কেসে ফাঁসানো হয়েছে তাকে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করে চলেছে সে। তবে পলাশ প্রতীক্ষার হাত গুটিয়ে বসে নেই। আদালতে মিথ্যে সাক্ষী খাড়া করেছে তারা। যে শিমুলের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিচ্ছে।

ধারাবাহিকের পর্বে দেখা যায়, শিমুলের বিরোধী পক্ষ জজ সাহেবকে বলেন, শিমুল দুজন নির্দোষ মানুষকে ফাঁসিয়েছে। যার প্রমাণ রয়েছে।

এই বলে সাক্ষীকে আদালতে ডাকেন উকিল বাবু। সাক্ষী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন, তিনি শিমুলের স্কুলের কাছে লজেন্স বিস্কুটের মতো খাবার দাবার বিক্রি করেন। একদিন শিমুল এসে তাকে বলে যে তিনি যদি একটি কাজ করে দেন, তবে শিমুল তাকে অনেক টাকা দেবে। তিনি গরীব হওয়ায় এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। শিমুল তাঁকে বলে, তাঁর কাজ হবে পিছন থেকে শিমুলকে এসে অ্যাটাক করা।

শিমুল নাকি এও বলে, বাকিটা সে নিজেই বুঝে নেবে। বিরোধীপক্ষের সাক্ষী শুনি অবাক হয়ে যায় শিমুল। সে বলে আমি এনাকে চিনি না। ইনি যা বলছেন সব মিথ্যে। তখন উকিল বলেন, সমস্ত অপরাধী নিজেদের অপরাধ অস্বীকার করে। তাই আপনিও ব্যতিক্রম নন। আদালতে ঘোরতর সমস্যার মুখে শিমুল। অথচ বাড়ি এসে পরাগের জন্য রান্না করতে ভোলে না। পলাশ প্রতীক্ষা যাতে পরাগের আর কোন ক্ষতি করতে না পারে তাই সে দাঁড়িয়ে থেকে পরাগের জন্য রান্না করে নিয়ে আসে।

আরও পড়ুন: মহিলা বটে! সূর্যের খোঁজ করতে করতে কলকাতা থেকে সোজা মোহনপুরের স্থানীয় থানায় জিনিয়াস দীপা!

এরপর দেখা যায় মধুবালা দেবী এসে দাঁড়িয়েছন। তিনি শিমুলকে সরাসরি প্রশ্ন করছেন পলাশের চিকিৎসা কবে থেকে শুরু হবে। শিমুল তখন বলে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে লোনের জন্য। তখন মধুবালা দেবী নানান ভাবে শিমুলকে কথা শোনাতে থাকেন এবং পলাশ-প্রতীক্ষা ভালো মানুষ, শিমুল পরাগের ক্ষতি করতে চাইছে সেই কথা বারংবার বলতে থাকেন। তখন পরাগ বলে, শিমুল তোমায় অনেকবার ক্ষমা করেছে মা। কিন্তু আর করবে বলে মনে হয় না। এরপর শিমুল বলে, নিজের স্বপক্ষে সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ জড়ো করে সে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেই ছাড়বে।

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র। আমার লেখা আরও পড়তে এখানে ক্লিক করুন।