জি বাংলার পর্দায় অর্ক গাঙ্গুলীর প্রযোজনায় চলা ধারাবাহিকের নাম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha)। এই ধারাবাহিকটি সমাজের এমনকিছু ঘটনাকে তুলে ধরছে যে ঘটনাগুলো সম্পূর্ণভাবে আহরন করা হয়েছে সমাজ থেকে। আর এই ঘটনাগুলো তুলে ধরায় বিতর্কের জন্ম হলেও দর্শকদের একাংশ বলছে এই বিষয়গুলো দেখানো প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে আজকের গোড়া সমাজ, আর সেই সমাজে নারীদের ওপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনাকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। আর যা দেখে প্রাথমিক পর্যায়ে দর্শকরা ছিছিকার করলেও এখন কিন্তু একপ্রকার সমর্থন জানিয়েই বলছেন বাস্তব সম্মত ধারাবাহিকই দেখানো উচিত।
এই ধারাবাহিকটি যে দারুনভাবে দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে তা বলাই বাহুল্য। চলতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকাতেই তার আসল রূপ প্রকাশিত হয়েছে। চলতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকা অনুযায়ী এই ধারাবাহিকটি পঞ্চম স্থান দখল করেছে। গ্রহণযোগ্যতা পেলে তবেই যে এই ধরনের সাফল্য আসে তা বলাই বাহুল্য।
বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া ইস্তক অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছে শিমুলকে। সেই অত্যাচার শারীরিক মানসিক সব রকমের। এমনকি তার সঙ্গে হয়েছে বৈবাহিক ধ র্ষণ। না প্রতিবাদ করলেও সংসার ছেড়ে বেরিয়ে আসেনি সে। আর সেই জন্যই শাশুড়ির অনুরোধে সে আবার তার স্বামীর ঘরে ফিরেছে।
কিন্তু সেখানে গিয়ে তাকে আবারও অত্যাচারিত হতে হয়েছে। পরাগ মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে শিমুলের। তারপরেও ক্ষান্ত হয়নি সে। শিমুল আঘাত পেলেও তার সঙ্গে জোরপূর্বক শা রীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছে সে। যদিও চুপ না থেকে প্রতিবাদ করে নিজের স্বামীকে জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করেছে শিমুল।
আরও পড়ুনঃ ‘তোকে বিশ্বাস করার থেকে মরে যাওয়া ভালো!’ আজ মিশকাকে মে রে ফেলবে সূর্য! নিজেকেও মারতে চায় সে
সে শরীরে আঘাতের চিহ্ন নিয়ে নীচে নামলে সবাই তাকে দেখে চমকে ওঠে। তখন পুতুল তাকে দেখে জিজ্ঞেস করে কী ভাবে তার সঙ্গে এমনটা ঘটল? তখন শিমুল তার শাশুড়িকে উদ্দেশ্য করে বলে ‘বাঘের খাঁচায় ছেড়ে দিয়েছিলেন আর এগুলো সেই বাঘেরই আঁচড়ের দাগ।’
View this post on Instagram