জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Kar Kachhe Koi Moner Kotha: ‘আমি চোখ বুঝলে পুতুলকে দেখার জন্য তুমি আছো’! কুচুটে শাশুড়ির বিশ্বাস অর্জন করল শিমুল

অর্ক গাঙ্গুলীর লেখনীতে এই মুহূর্তে জি বাংলার পর্দায় চলা অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিকের নাম অবশ্যই কার কাছে মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha)। এই ধারাবাহিকটি ধারাবাহিকভাবে দর্শকদের বিশ্বাস অর্জনে সমর্থ হয়েছে। দর্শকদের কাছে ভীষণ রকম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ধারাবাহিকটি। অল্প সময়েই মিলেছে সাফল্য।

তবে শুধুমাত্র যে জনপ্রিয়তার খাতিরে এই ধারাবাহিকটি পরিচিতি পেয়েছে এমনটা একেবারেই নয় বরং বিতর্কের কারনেও বেশ ভালো রকম জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে এই ধারাবাহিকটি যাকে বলা যায় নেগেটিভ পাবলিসিটি।

এই ধারাবাহিকটি মূলত পাঁচ ইয়ারি কথা। অর্থাৎ পাঁচ বন্ধুর একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর, পাশে থাকার, বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার এবং মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার গল্প বলবে বলেই শুরু হয়েছিল। যদিও এই মুহূর্তে পাঁচ বন্ধুর মধ্যে একজন নেগেটিভ চরিত্রে রয়েছেন। পলাশের হবু স্ত্রী প্রতীক্ষা। অর্থাৎ নায়িকা শিমুলের হবু জা।

উল্লেখ্য, শিমুলের শ্বশুরবাড়িকে খুবই অত্যাচারী, কুটিল, জটিল একটি পরিবার হিসেবে দেখানো হয়েছে। ‌এমনকি শিমুলের শাশুড়িও অত্যন্ত কুটিল মানসিকতার বলেই এই ধারাবাহিকের শুরু থেকে আমরা দেখেছি। তবে এই মুহূর্তে এই চরিত্রটার মধ্যে দারুন রকম পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। আসলে প্রচুর শেড রয়েছে এই চরিত্রটায়।

একদিকে শিমুলের শাশুড়ি মধুবালা এক অত্যন্ত কঠোর শাশুড়ি। যে নিয়মের বেড়াজালে নিজের ছেলের বউকে আটকে রাখতে চায়। সব সময় সে নিজের দুই ছেলের সমর্থনে কথা বলে কখনই নিজের বউকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে না। নিজেই শ্বশুর বাড়িতে এসে অত্যাচারিত হয়েছি বলে নিজের ছেলের বউকেও অত্যাচার করব এমনই তার মানসিকতা। কিন্তু অপর দিকে এই মানুষটাই আবার শিমুলকে মনে মনে ভালোবাসেন। বিশ্বাস করেন।

আরো পড়ুন: Anurager Chhowa: ‘ডাক্তারববাবু আমার সাথে যা করেছে আমিও তাই করব?’ মিশকার প্রেগনেন্সিতে সূর্যের প্রতি দীপার বিশ্বাস সূর্যের মুখে ঘষল ঝামা

তিনি জানেন তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে যদি কেউ ভালোবাসে এই বাড়িতে সেটা একমাত্র শিমুল। সে তার অসহায় ননদ পুতুলকে নিজের বুকে টেনে নিয়েছে। আর তাইতো শিমুলের শাশুড়ি যখন বাড়িতে ছিল না যখন পরাগ এবং পলাশ রান্নাঘর তালা বন্ধ করে চলে গিয়েছিল, তখন তালা ভেঙে রান্না করে পুতুলকে খাইয়েছে সে। কারণ না খেলে যে পুতুল ওষুধ খেতে পারবে না। আর তাইতো শিমুলের শাশুড়ি অকপটে বলেন ‘আমি চোখ বুজলে পুতুলকে দেখার জন্য তুমি আছো আমি জানি।’ ধীরে ধীরে শাশুড়ির বিশ্বাস অর্জন করছে শিমুল।

 

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।