শুরুটা হয়েছিল আর পাঁচটা ঘ্যান ঘ্যানে বাংলা ধারাবাহিকের (Bengali Serial) মতো। শাশুড়ি-বউমা কোন্দল, পারিবারিক ড্রামা ইত্যাদি নিয়েই এগিয়ে চলছিল ধারাবাহিকের গল্প। তবে গল্পের মোড় ঘোরাতেই তরতরিয়ে বাড়ে টিআরপি (TRP)। পরিচালক গল্পে আনেন একাধিক স্তর। এই মুহূর্তে,জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha) ধারাবাহিকে চলছে টান টান পর্ব।
শতদ্রু আর বান্ধবীদের তৎপরতায় জামিন পেয়েছে শিমুল। এই মুহূর্তে, শিমুল আবার নতুন করে বাঁচুক, সে ভাল থাকুক এটাই চায় সবাই। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে শিমুল পুতুল আর মধুবালার খোঁজ নিতে শুরু করে। যা দেখে অবাক হয় সকলে। যে শাশুড়ির জন্য শিমুল এতকিছু করেছে, সেই শাশুড়ি কাঠগড়ায় শিমুলকে দোষারোপ করতে একটুও পিছপা হয়নি।
তবে পুতুল ভালো নেই শিমুলকে ছাড়া। এই একজনই একবারের জন্য ভুল বোঝেনি শিমুলকে। পলাশ আর প্রতীক্ষার বিরোধিতা করেছে শুরু থেকে। শিমুলের না থাকা তাকে এতটাই শক দিয়েছে যে এই মুহূর্তে সে গুরুতর অসুস্থ। ডাক্তার বলেছেন, পুতুলের অসুখ মনে। ওর প্রিয় বউকে পেলেই ফের সেরে উঠবে সে।
এদিকে,পরাগকে বিষ শিমুলই খাইয়েছে বলে মেনে নিয়েছে মধুবালা। তাই শিমুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। অসুস্থ পুতুলকে যখন সে ওষুধ খাওয়াতে যায়, তখন পুতুল তাকে বলে সে ওষুধ খাবে না। মধুবালা বলে, ওষুধ না খেলে পুতুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হবে।
পুতুল তার মাকে জানায়, মধুবালা মিথ্যেকে বিশ্বাস করছে। মিথ্যের মধ্যে বাঁচছে। আসলে শিমুল পরাগকে বিষ দেয়ননি । এসবই পলাশ আর প্রতীক্ষার কারসাজি। শিমুল যাতে বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয় তাই এই ষড়যন্ত্র। আর পরাগকেও তারা হাত করেছে। পরাগও সব সত্যি না জেনেই শিমুলকে ভুল বুঝছে। মেয়ের মুখে এই কথা শুনে চিন্তা করে মধুবালা। যদি এসব সত্যি হয়, তাহলে আর পলাশ-প্রতীক্ষাকে ক্ষমা করবে না সে।