Bangla Serial

‘আমার গল্পটি ফুরালো…’! মালিনীর হাতে কেন খুন হল দোয়েল? কেন ধারাবাহিক ছাড়লেন শ্রীতমা? সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলা টেলিভিশন (Bengali Television) জগতের পরিচিত নাম। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘উমা’-এ (Uma) আলিয়ার চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন অভিনেত্রী। ‘কী করে তোকে বলব’, ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র মতো জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় মেগায় দেখা মিলেছে অভিনেত্রীর। এই মুহূর্তে তাঁকে দেখা যাচ্ছে মন দিতে চাই (Mon Dite Chai) ধারাবাহিকে।

টলিপাড়ার জনপ্ৰিয় মুখ অভিনেত্রী শ্রীতমা মিত্র (Shreetama Mitra)। জি বাংলার অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক ‘মন দিতে চাই-এর দর্শকদের জন্য খারাপ খবর। তাদের প্ৰিয় দোয়েলের আর দেখা মিলবে না এই ধারাবাহিকে। না, এখনই বিদায় ঘণ্টা বাজেনি জনপ্রিয় এই ধারাবাহিকের। তবে গল্পে আসছে বড় টুইস্ট! তিতির নয়। মালিনীর হাতে নাকি খুন হতে চলেছে দোয়েল!

ইতিমধ্যে ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দর্শক দেখেছে, মালিনীর হাতে দোয়েলের আহত হওয়ার ঘটনা। রঙের উৎসবের ফাঁকেই থান ইট দিয়ে তিতিরকে খুনের চেষ্টা করে মালিনী। কিন্তু পরে দেখা যায়, তিতির নয়। ভুলবশত দোয়েলকেই আহত করেছে সে। রক্তে ভাসছে দোয়েলের সাড়া শরীর। যদিও এখনও সে খবর চাউর হয়নি। নিখোঁজ দিদিকে হন্যে হয়ে খুঁজছে তিতির ও তাঁর পরিবার। দোয়েল কি সত্যি মারা যাবে? নাকি ধারাবাহিকের গল্পে আসছে অন্য চমক? স্পষ্ট নয় এখনও।

তবে ধারাবাহিক থেকে তাঁর বিদায় নেওয়ার জল্পনা আধেও গুজব বা সত্যি জানান খোদ নায়িকা। শ্রীতমা জল্পনায় সিলমোহর দিয়ে জানান, ‘হ্যাঁ, আমাকে আর মন দিতে চাই-এ দোয়েল হিসাবে আর দেখা যাবে না। তবে ধারাবাহিক চলবে’।

নিজের জার্নি সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন শ্রীতমা। বলেন, ‘ভীষণ ভালো একটা জার্নি। ভীষণ অন্যরকম একটা চরিত্র। নরম মনের মানুষ দোয়েল। আমি এর আগে নেগেটিভ চরিত্র করেছি, তারপর এমন একটা পজেটিভ মানুষ দোয়েল, আজকালকার দিনে বিরল। আমাদের সবার মধ্যেই একটা গ্রে শেড আছে। কিন্তু দোয়েলকে যে যা বলে সবটা মুখ বুজে সহ্য করে নেয় সে।’

আরো পড়ুন: “আমাকে একটা হলুদ শাড়ি…” প্রথম বার স্বস্তিকের কাছে আবদার করলে গীতা! বৈশাখী প্রেম জমে ক্ষীর! তবে কি বাস্তব জীবনেও লেগেছে প্রেমের ছোঁয়া?

ধারাবাহিকের মাঝ পথেই শেষ হয়ে যাচ্ছে তাঁর চরিত্রটি। খারাপ লাগছে? উত্তরে অভিনেত্রী জানান, ‘খারাপ লাগাতো আছেই। প্রতিটা চরিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে সন্তানসম। আমার কাছেও তাই। আমি দোয়েল চরিত্রটাকে কোলে পিঠে করে গড়ে তুলেছি। দোয়েলকে জেনেছি, চিনেছি, তিল তিল করে ফুটিয়ে তুলেছি। আমরা ১৪ ঘণ্টা শ্যুটিং করি। সেটের সবাই পরিবারের মতো। আচমকা সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে যেমন লাগে,আমারও এখন তেমনই লাগছে। খুব মিস করব দোয়েল করাটা।’

Joyee Chowdhury

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ-এ স্নাতকোত্তর। বিনোদন ও সংস্কৃতি বিভাগই মূল ক্ষেত্র।