জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

মেয়েটাকেও ছাড়েনি ওরা! ‘হু ইজ কেকে’ বিতর্কের পর মেয়েকে নিয়ে বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন রূপঙ্কর

বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় এবং সেরা গায়ক রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi) । বাংলার এই খ্যাতনামা গায়ক বিভিন্ন সময় কটাক্ষবিদ্ধ হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। কলকাতায় প্রয়াত বলিউড গায়ক কেকে’কে (KK) কটাক্ষ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী।বলাই বাহুল্য রূপঙ্করের বিতর্কিত মন্তব্যের পরেই কেকে’র আকস্মিক মৃত্যু রূপঙ্করের কটাক্ষে যেন ঘৃতাহুতি দেয়।

রূপঙ্করের বিরুদ্ধে কার্যত গর্জে ওঠে বাংলা। কেকে প্রয়াত হওয়ার পরই ফোনে প্রাণ নাশের হুমকি পান রূপঙ্কর-পত্নী। চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার হতে হয় রূপঙ্করের পরিবারকে। এমনকি গায়কের পাশ থেকে সরে যান সমস্ত গায়ক-গায়িকারাই। প্রকাশ্যে সমর্থন খুব কম ব্যক্তিত্বই করেন। সেই সময় কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন রূপঙ্কর। যদিও তার পাশ থেকে সরে যান তার স্ত্রী চৈতালি। শক্তভাবে ধরেছিলেন নিজের স্বামীর হাত।

সম্প্রতি দিদি নম্বর ওয়ানের মঞ্চে এসে সেই দুঃসহ সময়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন রূপঙ্কর ও তাঁর স্ত্রী চৈতালী। সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জির কাছে রূপঙ্করের স্ত্রী বলেন, তোমার এখানে এমন অনেক দিদিরা এসেছেন, যাদের জীবনের লড়াইয়ের গল্প শুনে মনে হয় আমার লড়াইটা কিছুই ছিলনা। যদিও দুজনেই জানিয়েছেন তারা নিজেদের মেয়েকে নিয়ে ভীষণ রকম ভাবে উদ্বেগে ছিলেন। কটাক্ষ আক্রোশের হাত থেকে বাদ পড়েনি সেও।

চোখের কোনে জল নিয়ে স্ত্রীর কথার রেশ ধরে রূপঙ্কর বলেন, আমি ভীষণভাবে চিন্তায় ছিলাম ও কীভাবে রিঅ্যাক্ট করবে এই সিচুয়েশনে। কারণ, ওকে এমন কিছু ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল যা কোনও বাবা-মা চাইবে না তার সন্তান ফেস করুক। যদিও ওরা দুজন আমার পাশে ছিল সব সময়। যদিও এখন পরিস্থিতি বদলেছে আবার নতুন করে সবটা সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন রূপঙ্কর-চৈতালি। কিন্তু ওই সময়টা ভুলে যাওয়া তাদের পক্ষে সত্যিই বড্ড কঠিন।

রূপঙ্করের কোন বক্তব্যে বেঁধে ছিল বিতর্ক?

কলকাতায় শো করতে আসার কথা ছিল কেকের। আর তা নিয়ে ভক্তদের মধ্যে ছিল তুমুল উত্তেজনা , উন্মাদনা। আর কেকে’র জনপ্রিয়তা, উন্মাদনা যার মধ্যে হয়তো কোথাও হিংসার সঞ্চার করেছিল রূপঙ্কর বাগচীর মধ্যে। একজন মুম্বাইবাসী গায়কের বাংলায় তুমুল জনপ্রিয়তা দেখে সোশ্যাল মাধ্যমে মুখ খুলে ছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘KK, KK, KK who is K K man? ওঁর গান শুনে আমি অনুভব করলাম আমরা (রূপঙ্কর, মনোময়, ইমন, সোমলতা, রূপম, অনুপম) ওর থেকে ঢের ভালো সিঙ্গার। তাহলে আমাদের নিয়ে সেই উন্মাদনা আপনাদের মধ্যে দেখা যায় না কেন? কতদিন আর বম্বের পিছনে পড়ে থাকবেন? বাঙালি হন।’ রূপঙ্করের এহেন বক্তব্যের পরের দিনই কলকাতাতেই হৃদযন্ত্র থেমে যায় কেকে’র। আর তারপরেই রূপঙ্করের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।