ভক্তদের হতাশ করে ইতির খাতায় নাম লেখালো ‘মিঠাই’। ৯ই জুন শেষ সম্প্রচার হয়েছে এই মেগার। জি বাংলার একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’। হয়তো এই ধারাবাহিকের কথা মানুষের স্মৃতির খাতায় সারাজীবন থেকে যাবে। প্রায় তিন বছর ছুঁতে চলেছিল এই ধারাবাহিক। আর এই এতদিনের পথ চলার মাঝে একের পর এক নিত্যনতুন ট্যুইস্ট এসেছে গল্পে। গল্পে প্রথম বড় ট্যুইস্ট ‘মিঠাইয়ের মৃত্যু’। আর তারপর গল্পে শাক্য আর মিঠির এন্ট্রি গল্পকে এক নতুন রূপ দেয়।
এরপর সেই মিঠিকে নিয়েই চলে বেশকিছুদিন ধারাবাহিক। মিঠিকে হুবহু মিঠাই-এর মতোই দেখতে। তারও দুষ্টু-মিষ্টি স্বভাব দর্শকদের মন কেড়েছিল। এই মিঠির রোলেও অভিনয় করেছেন সৌমীতৃষা কুণ্ড। তবুও ধারাবাহিকের মিঠাই একটু বেশি প্রিয় দর্শকদের। বলাই যায়, সৌমীতৃষাকে দেখার জন্যই বহু দর্শক টিভির পর্দার সামনে বসে থাকে। ‘সিধাই’ জুটি প্রিয় সকলের। আর তাই একসময় দর্শকদের চাহিদায় মিঠাইকে ফেরাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছিল লেখিকা।
তবে দর্শকদের মনের এই ‘সিধাই’ জুটি ছিল চর্চার কেন্দ্রে। অনেকের অনেক বক্তব্য এই জুটিকে ঘিরে। ‘মিঠাই’এর প্রথমদিকে অনেকে মনে করেছিলেন হয়তো মিঠাই আর সিডের প্রেম চলছে। আর সেটা হোক, এমনটাই চেয়েছিল তাদের ভক্তরা। কিন্তু ভক্তদের হতাশ করে তারা স্পষ্ট জানায়, তারা শুধুই ভালো বন্ধু। তবে পরবর্তীকালে জানা যায়, মিঠাই নয়, দিদিয়া অর্থাৎ কৌশাম্বীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সিডের।
কিছু ভক্ত এই সম্পর্কের কথা শুনে খুশি হলেও, মিঠাই ভক্তরা গেলেন খেপে। তাদের কথা, কৌশাম্বীর জন্যই মিঠাই আর সিডের মধ্যে দূরত্ব তৈরী হয়। অনেকের মতেই, অনস্ক্রিনে এই জুটির মধ্যে ঠিক যতটা বন্ধন দেখা যায়, অফস্ক্রিনে ঠিক ততটাই উল্টো। এরূপ নানান গুঞ্জনের মাঝে এটা স্পষ্ট হয়, মিঠাই’এর সঙ্গে তাই কৌশাম্বী-এর ভালো সম্পর্ক নেই। তবে সেই সব কথা যে মিথ্যে, তা প্রমান হয়ে যায় মিঠাই’এর শেষের পরই।
কৌশাম্বী ও মিঠাই দুজনেই স্মৃতি চারণে একে অপরের ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে বোঝাই যায়, তাদের সম্পর্কে কোনও তিক্ততা নেই। সম্প্রতি আরও একটি ভিডিও আগের সব গুঞ্জনকে মিথ্যা প্রমাণিত করল। মিঠাই অর্থাৎ সৌমীতৃষা একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি গানের রিল, যেখানে দেখা যাচ্ছে মিঠাই, তোর্সা ও দিদিয়াকে। তিনজনেই বেশ মজা করে রিলটি করছেন। বিলটি পোস্টার সাথে লিখেছেন, ‘GOOD NIGHT EVERYONE’। বোঝাই যাচ্ছে, আড্ডায় মত্ত তারা। যা দেখে স্পষ্ট তিনজনের বন্ধুত্ব রয়েছে বেশ খাসা।